Wednesday, January 20, 2021

হারানোর গল্প-২

আমার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সব ঝড় তুফান ও স্ট্রিম রোলারের ধাক্কা সহে উঠে দাড়ানোর চেষ্ট করে যাচ্ছি নিরন্তর।

মনে পড়ে যায় বাচ্চুর সেই গান- হাসতে দেখো গাইতে দেখো, অনেক কথায় মুখর আমায় দেখো.......

শুধু আমি জানি কোথায় কি হচ্ছে।

প্রতিদিন অন্তত ৫ থেকে ৬ ঘন্টা ফোনে কথা হয় ওর সাথে।

Monday, January 18, 2021

হারানোর গল্প ১

 


আমি জীবনে যা আশা করেছি তার কিছুই পেলাম না। বুক বয়স্ক মহিলাদের মতো শুকিয়ে কিসমিম হয়ে গেছে। মনে হয় দুই সন্তানের জননী। আমি সেই কথাটাই বুঝতে চেষ্টা করলাম । 

আমি বললাম তোমার কি  কোন শারিরিক সমস্য আছে ? 

ও বলল না

আমি বললাম তাহলে এমন কেন?

কোন কোন জটিল রোগব্যধি হয়েছিলো নাকি?

ও বলল না তাও হয়নি।

আমার জীবনের সবস্বপ্ন  দঃখের আকাশে উড়ে গেলো নিমিশে। বুকের ভিতরটা দুমড়ে মুচড়ে যেতে চাইলো। মনে মনে ভাবতে লালাম কুমারীর বিন্দুমাত্র চিহ্ন নেই।নিজের অজান্তেই চোখদিয়ে পানি গড়িয়ে পড়তে লাগলো।তারপর নিজেকে শান্তনা দিলাম এটা ভেবে যে আমার কপালে যা নাই তা আমি কি করে পাবো। আমার কপালে এটাই আছে। তা না হলে আল্লাহ আমাকে এমন পরীক্ষা কেন নেবেন। আরো ভাবলাম যে,  অন্য কোন ছেলের সাথে যদি এই মেয়ের বিয়ে হতো তাহলে আজই এভাবে ফেলে চলে যেতো। মেয়েটির কপালে ঘোর অনামিশা নেমে আসতো তাই হয়েতো আল্লাহ আমাকে এখানে পাঠিয়েছে। ইত্যাদি ইত্যাদি ভেবে নিজেকে শান্তনা দিলাম।

ওর সমস্যার কথা ওকে সব খুরে বললাম। 

ও বলল আমি তো এমনই।

আমি বললাম তুমি কি তোমার পার্থক্যটা বোঝো না , নাকি না বোঝার ভান করো ঠিক বুঝতে পারছি না।আমি কোনভাবেই বোঝাতে পারলাম না যে, ওর শারিরিক সমস্যা।আমি বললাম তোমার ২০বছর বয়স তুমি অনেক মেয়ের সাথে মিশিছ যারা তোমার বান্ধবী।মেয়েদের ভীতর অনেক খোলামেলা কথা হয় । তাতেও তুমি বুঝতে পারনি যে তোমার শারিরিক কিছু সমস্যা আছে। 

যাইহোক, কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে আমি আমার নিজের কষ্ট নিজের বুকে চাপা দিয়ে। ঢাকায় ফিরে এলাম। দুই তিন দিন পর আমার শ্বশুর ফোন করে আমাকে বলে তুমি আর আমার মেয়েকে ফোন করবা না। তুমি ওকে অসতি বলেছো।তুমি  এতো কিছু জানো কি করে নিশ্চই তোমার সমস্যা আছে। আমি তাকে বোঝাতে চেষ্ট করলাম যে, আমি তাকে অসতি বলিনি আমি বলেছি, তোমার যে সমস্যা সেটা কখনো ওমনি ওমনি হয় না। এটা কেউ বিশ্বাস করবে না। কে কার কথা বিশ্বাস করে। শুরু হলো তুলকালাম কান্ড।

আমার শ্বশুর সবাইকে ডেকে বাড়িতে জড়ো করলেন। আমি দফায় দফায় একেক জনকে ফোন করতে লালগাম। আর একেক জন আমাকে একেক ভাবে ভয়ভীত দিতে লাগলো। আমার বাবা মাকে ও ডাকা হলো।

আমি শুধু বলেছিলাম আপনারা যখন সব জেনেছেন তখন বাইরে  জানাজানি না করে আগে নিজেরা যাচাই করেন । আমি যদি ভূল বলে থাকি তবে আপনারা যে শাস্তি দিবেন আমি তাই মানবো।

কোন কথায় কাজ হচ্ছে না। আমার নানী শাশুড়ী বললো ডাক্তার ডাকা হয়েছে চেক করা হচেছ । আমার সাথে আমার বউকে একটিবার ও কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না। তারা তাদের মতে আমার বউকে চালাচ্ছে। 

সবশেষে আমার শ্বশুর শাশুড়ি বলল এই সমস্যা কি করে হলো আমরা বুঝতে পারছি না। আমাদের সংসার জীবনে এমন সমস্যা কারো হয় তা জানতাম না।

আমার নানী শাশুড়ি বলল আমার ৪০ বছরের সংসার জীবনে কোনদিন এমন সমস্যার কথা শুনিনি।

আমি শুধু বলেছেলাম যে, আমি যদি মেয়ে হতাম আর এই সমস্যা যদি আমার হতো তাহলে আমার কোন কথা আপনারা শুনতেন না । ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতেন। আমি তো আপনাদের কথা শুনছি সবসমস্যা মেনেনিয়েছি। 

পরে শুনেছি আমার বউ বলেছে কোন ডাক্তার ডাকা হয়নি। এটা মিথ্যা কথা ছিল। ফোন কেড়ে নিয়ে গেছে আমার সাথে কথা বলতে দেয়া হয়নি। 

দুই দিন পর আমি আমার বিয়ে করা বউযের সাথে কথা বলেছি। এই দুই দিন আমাকে সবাই মিলে প্রচন্ড মানষিক যন্ত্রনায় রেখেছিলো।এটা আমার পাওনা বা কাম্য ছিলো না।

শুধু সন্তানের জন্য

 আমি চরম অসহায়। জীবন যুদ্ধে যার সাথে মাঠে নেমেছি  সেই আমার প্রতিদ্বন্দি। সে আর কেউ নয় আমার স্ত্রী। কেন বলছি কারন, আমার আয় করা টাকা থেকে বছরে...