Thursday, February 16, 2023

16.02.23


 ঘড়ির কাটায় তখন সাড়ে বারোটা। ধানমন্ডি থেকে উত্তরার পথে রওনা হলাম। গাড়িতে আমি আমার বস, অন্য একজন , আর ড্রাইভার তো আছেই। জান্নাত একের পর এক ফোন দিচ্ছে । আমি ব্যাক করে বললাম আমি গাড়িতে বসের সাথে, উত্তরায় আসছি। এবং মেসেজ দিয়েও জানিয়ে দিয়েছি যে, ২ টার মধ্যে উত্তরায় পৌছে যাবো, বাসায় এসে লাঞ্জ করবো। 

২০ মিনিট পর আবার ফোন দিলো। ফোন কেটে দিয়ে ব্যাক করলাম। রিসিভ করার সাথে সাথে সেই বেজম্মা ও অমানুষিক সুরে কথা বলা শুরু করলো। 

কালকে তোমাকে যে রেকর্ডিং পাঠালাম, ঝগড়া করলাম তা নালিশ করা হয়ে গেছে ?

আমি বললাম বুঝিনি।

আবার বলতে শুরু করলো, আমার আব্বার কাছে নালিশ করা হয়ে গেছে। মানুষের মধ্যে কিছু বলতে পারছিধ না শুধু উত্তর  দিলাম - না আমি কিছু বলিনি। আমার কথা শেষ হতে না হতেই - আমাকে আর কতো জ্বালাবা, আমাকে ডির্ভোস দিয়ে দাও আমি তোমার সংসার করবো না। আমি কোন উত্তর না  দিয়ে ফোন কেটে দিলাম। 

বুক ফেটে কান্না আসছিলো। শুধু মুখ বুজে পাশের মানুষগুলোর দিকে তাকালাম। আর মাথা নিচু করে বসে রইলাম।

ওর তো মান সম্মান বলতে কিছু নাই। যার রক্তে কোন মনুষত্বের শিক্ষা নাই, চরিত্রে এক বিন্দু সাদা জায়গা নাই, ভদ্রতা বা ব্যবহারের কোন বালাই নাই। তার আবার মান সম্মান।  এই ৫ বছরে আমি গরম, নরম সব হয়েছি। কোন পন্থা বাদ দেয়নি ।তারপরও চরিত্র একটুও বদলালো না।  এজন্য ওর বাপকে আমি এক বার বলেছিলাম যে, ‘‘মেয়ে আপনার জন্ম দেয়া কিনা আমার সন্দেহ হয়। আপনাকে দেখে মনে হয়, আপনার ভিতর লজ্জা আছে। কিন্তু আপনার মেয়ের ভীতর মানুষের কোন গুন নাই।’’

প্রতিনিয়ত বাইরের মানুষের কথা শুনে । আমাকে যা না তাই বলে। যা আমার  পক্ষে ভাষায় প্রকাশ করার না। আজ অনুমানিক দেড় বছর হয়ে গেছে আমি ওর গায়ে হাত তুলিনা। হাত তুলে দেখেছি কোন পরিবর্তন নাই। তাই এখন ওর সাথে কথা বলতেও আমার ঘৃনা লাগে। শুধু নিষ্পাপ মেয়েটার চিন্তায় বড় কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারিনা। 

শরীরের রক্ত পানি করে যাকে খাওয়াই। যাকে ভালো রাখার জন্য , মানুষের কত রকম কত কথা শুনি । তার এরকম অসহ্য আচরন কতটা যন্ত্রনার তা যে পায় সেই বোঝে। হ্যা সহ্য করতাম, যদি অন্যায় করতাম। যে অপবাদ দেয়া হচ্ছে সেই অপকর্ম করতাম । তাহলে মনকে  বুঝ দিতে পারতাম। কিন্তু বিন্দুমাত্র অন্যায় না করে ঘরের মানুষের কাছে অবিশ্বাসী হয়ে থাকাটা যে কতো কষ্টের তা যদি বুঝতো।


 

Monday, February 13, 2023

14.02.23

আমার মনে নেই , তবে এখানে লেখা আছে । ঘরের জিনিসপত্র ভেঙ্গেছিলো, আশপাশের ফ্লাটে আমার নামে যা না তাই বলেছিলো। এবং বাইরের লোক দিয়ে আমায় বেশি কথা শুনিয়েছিলো  বিনা কারনে। আমার তীল পরিমান অপরাধ ছিলোনা। আমি কিছু জানতামই না। 
আজ মনে হয় প্রায় দুই বছর পর আবার সেই রেকডিং সেই সব বিষয় নিয়ে আমাকে যা না তাই বলছে। আমার চরিত্রে কালী দিচ্ছে। সহ্য করা কঠিন , মুখ ‍ বুজে থাকাও কঠিন ,  একা একা কাদছি, আর ভাবছি এখনই ডিফোর্স দিয়ে দিবো। কিন্তু আমার সোনার টুকরো মেয়েটার কথা ভাবতেই কলিজাটা ফেটে যায়। 
একদিন দুদিন নয় প্রতিনিয়ত মিথ্যা কথা ছাড়া , মিথ্যা নিয়ে সংসারে অশান্তি করা ছাড়া কোন কাজ নাই নাকি বুঝি না।

রাত ১টা টার সময়, হিন্দু ছেলের সাথে ট্যাটিং করতে গিয়ে আমার হাতে ধরা খেলো, মার খেয়েছিলো, ওর বোন ইভার সামনে হাতে নাতে ধরিয়ে দিয়েছিলাম, ফেসবুকে পাচ সাত জনের সাথে প্রেম করে। ইভা বলেছিলো ভাই, একটু হায় হ্যালো করেছে, এটা তেমন  কিছু না। 
কই আমি তো কখনো ওকে এসব বিষয়ে খোটা দেইনি। আমার জীবনে একটাই কালী, সেটা সব সত্যি সত্রি ওকে এবং ওর পরিবারকে জানিয়ে দিয়েছি। তারপরও প্রতিনিয়ত অসহ্য
আমি নাকি ঐ মেয়ের নামে ফেসবুক আইডি খুলেছি, এমন উদ্ভট উদ্ভট মিথ্যা কথা বলে বলে সংসারে অশান্তি করা, আমাকে মানষিক যন্ত্রনা দেয়ার মানে বুঝি না। 
আমি দীর্ঘ দেড় বছর পর খুব জরুরী কারনে আমার মামাকে ফোন করেছি। এমন সময় জান্নাত আমাকে বললো, ওয়ারড্রবোর উপর থেকে ক্রিমটা দাও। আমি সেদিকে খেয়াল না করে কথা বলতে বলতে অন্য রুমে চলে গেলাম। কথা শেষ করে যখন ওর কাছে এলাম তখন ও বললো। আমার চেয়ে তোমার মা , মামা বেশি জরুরী, আমি তোমার কাছে ক্রিম চাইলাম না দিয়ে চলে গেলে। যখন মরতে পড়বা তখন মা, মামার কাছে যাবা। আমি আর তোমার সংসার করবো না। আমি জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে গেলাম। আর ভালো লাগেনা। তখন মেয়েটা ওর কাছে এগিয়ে এসে বললো, মা তুমি চিল্লাছো কেন ?
জান্নাত প্রতিউত্তরে বললো, দুর হ বেজাত তোর জন্য আমার জীবনটা কয়লা হয়ে গেছে। কেন যে পেটে ধরলাম। তুই না হলে আমার জীবনটা অন্য রকম হতো। 
আমি  এসব বিষয়ে ওকে এখন আর কথা বলিনা। চুপ করে শুনি ,  কারন অনেক বকেছি, মেরেছি, বুঝিয়েছি, কোন পরিবর্তন হয়না। তাই ঘৃনায় কিছু বলিনা। ঘৃনায় ওর কাছেও আমার যেতে ইচ্ছা করেনা। তারপরও অশান্তির ভয়ে , মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে, অনিচ্ছা সত্বেও ..........................

ওর মিথ্যা মেসেজের কিছু চিত্রর স্কিন শর্ট রাখলাম, কারন দুদিন যেতে না , যেতেই সব অস্বিকার করবে।




শুধু সন্তানের জন্য

 আমি চরম অসহায়। জীবন যুদ্ধে যার সাথে মাঠে নেমেছি  সেই আমার প্রতিদ্বন্দি। সে আর কেউ নয় আমার স্ত্রী। কেন বলছি কারন, আমার আয় করা টাকা থেকে বছরে...