২০ মিনিট পর আবার ফোন দিলো। ফোন কেটে দিয়ে ব্যাক করলাম। রিসিভ করার সাথে সাথে সেই বেজম্মা ও অমানুষিক সুরে কথা বলা শুরু করলো।
কালকে তোমাকে যে রেকর্ডিং পাঠালাম, ঝগড়া করলাম তা নালিশ করা হয়ে গেছে ?
আমি বললাম বুঝিনি।
আবার বলতে শুরু করলো, আমার আব্বার কাছে নালিশ করা হয়ে গেছে। মানুষের মধ্যে কিছু বলতে পারছিধ না শুধু উত্তর দিলাম - না আমি কিছু বলিনি। আমার কথা শেষ হতে না হতেই - আমাকে আর কতো জ্বালাবা, আমাকে ডির্ভোস দিয়ে দাও আমি তোমার সংসার করবো না। আমি কোন উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দিলাম।
বুক ফেটে কান্না আসছিলো। শুধু মুখ বুজে পাশের মানুষগুলোর দিকে তাকালাম। আর মাথা নিচু করে বসে রইলাম।
ওর তো মান সম্মান বলতে কিছু নাই। যার রক্তে কোন মনুষত্বের শিক্ষা নাই, চরিত্রে এক বিন্দু সাদা জায়গা নাই, ভদ্রতা বা ব্যবহারের কোন বালাই নাই। তার আবার মান সম্মান। এই ৫ বছরে আমি গরম, নরম সব হয়েছি। কোন পন্থা বাদ দেয়নি ।তারপরও চরিত্র একটুও বদলালো না। এজন্য ওর বাপকে আমি এক বার বলেছিলাম যে, ‘‘মেয়ে আপনার জন্ম দেয়া কিনা আমার সন্দেহ হয়। আপনাকে দেখে মনে হয়, আপনার ভিতর লজ্জা আছে। কিন্তু আপনার মেয়ের ভীতর মানুষের কোন গুন নাই।’’
প্রতিনিয়ত বাইরের মানুষের কথা শুনে । আমাকে যা না তাই বলে। যা আমার পক্ষে ভাষায় প্রকাশ করার না। আজ অনুমানিক দেড় বছর হয়ে গেছে আমি ওর গায়ে হাত তুলিনা। হাত তুলে দেখেছি কোন পরিবর্তন নাই। তাই এখন ওর সাথে কথা বলতেও আমার ঘৃনা লাগে। শুধু নিষ্পাপ মেয়েটার চিন্তায় বড় কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারিনা।
শরীরের রক্ত পানি করে যাকে খাওয়াই। যাকে ভালো রাখার জন্য , মানুষের কত রকম কত কথা শুনি । তার এরকম অসহ্য আচরন কতটা যন্ত্রনার তা যে পায় সেই বোঝে। হ্যা সহ্য করতাম, যদি অন্যায় করতাম। যে অপবাদ দেয়া হচ্ছে সেই অপকর্ম করতাম । তাহলে মনকে বুঝ দিতে পারতাম। কিন্তু বিন্দুমাত্র অন্যায় না করে ঘরের মানুষের কাছে অবিশ্বাসী হয়ে থাকাটা যে কতো কষ্টের তা যদি বুঝতো।
No comments:
Post a Comment