Tuesday, December 15, 2020

 ১৮ নভেম্বর ২০২০ খুলনায় গেলাম। ভেবেছিলাম জান্নাতকে আর ঢাকায় আনবো না। ওর বাপের বাড়ি রেখে আসবো্ কিন্তু ওর নানী , মা এবং বাপের কথায় আবার নিয়ে আসলাম। তারা প্রমিজ করলো তাদের মেয়ে আর এমন বেয়াদবি করবে না।তাদের মানসম্মান রাখতে আমি পুনরায় জান্নাতকে ঢাকায় নিয়ে আসলাম। কিন্তু  একটি প্রবাদ আছে ককুরের লেজ কখনো সোজা হয় না। 

ঢাকায় আসার পর বেশ কিছুদিন ভালো ছিলো ।খুলনা থেকে জান্নাতের বাপ নানীর সামনে কথা দিয়েছিলো ফেসবুক আর ব্যবহার করবে না। কিন্তু ঢাকায় এসে সে কথা রাখেনি। আমি এই বিষয় আর কিছুই বলিনি। কি আর বলবো যে মেয়ে তার নিজের পরিবারের , জন্মদাতা বাপের মান রাখতে পারে না তাকে বেশি কিছু বলে হবে।

যাইহোক এভাবে দিন কাটছে। ১২ ডিসেম্বর জান্নাত তার পূর্বের রুপে ফিরে গেলো।সেদিন আমার শরীরটা বেশি ভালো না, প্রচুর ঠান্ডা, এক সপ্তাহ যাতৎ সূর্য  দেখা যায় না।সেদির জান্নাত দাবি করলো তাকে একটু আদর করতে হবে। আমি বললাম আজকে একটু কষ্ট করো কালকে তোমার সব আশা পূর্ন  করবো। হঠাৎ আমাকে বলছে , আমি শুধু আমার মেয়েটার জন্য এখানে আছি। তুমি আমার ক্ষমা পাওযার যোগ্য না। ইত্যাদি ইত্যাদি যানা তাই বলতে লাগলো। আর একটি কথা না বললেই নয় যে, আমি জান্নাতকে বেশি কিছু বলল তার ফল নেমে আসে আমার নিস্পাপ শিশুটির উপর। তাই অনেক কিছু মুখ বুজে সহ্য করার পরেরও ওর মন ভরে না। 

আমি তো আকাশ থেকে পড়লাম যারে বাবা, আমি আবার কি অন্যায় করলাম। যা কিছু করার সব জান্নাত নিজে করলো পরের কথায় আমাকে সন্দেহ করে ঘরের মান সম্মান রাস্তায় বিলিয়ে দিলো। ঘরের মূল্যবানি জিনিসপত্র ভেঙ্গেচুরে নষ্ট করলো। খুলনা থেকে ওর বাপ মা নানী আমাকে বুঝিয়ে সুজিয়ে ওকে ঢাকায় পাঠালো যে তাদের মেয়ে আর অশান্তি করবে না।তার  এই রুপ।

প্রতিটি দিন একটি না একটি বিষয় নিয়ে অশান্তি করবেই। রাতে বাসায় ফিরে যদি কম্পিউটার নিয়ে বসে নাটক দেখি তাতেও সমস্যা। যদি খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে পড়ি তাতেও সমস্যা।আমার আর বাসায় ফিরতে ইচ্ছা করেনা। কিন্তু মেয়েটার মুখের দিকে তাকালে কলিজাটা ফেটে যায়। আমার দেখা সবচেয়ে হাসিখুশি শিশু হলো আমার মেয়ে। ক্ষুধা না লাগলে একটুও বিরক্ত করবে না্। ওর হাসি দেখলে আমি আত্মহারা হয়ে যাই। আর সেই মেয়ে দুধ খেতে চাইলেও বকা শুনে মার খায় (বয়স দেড় বছর) । 

No comments:

Post a Comment

নালিশ ছাড়া আর কোন মুরদ আছে ??

 প্রতিদিনের একটা ঘটনা। সকালে মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার আগে একবার মায়ের হাতে মাইর খেতে ও গালি গালাজ শুনতে হবে। আর একবার সন্ধ্যার সময় পড়তে বসল...