Tuesday, November 3, 2020

2 nov.2020

 2 nov.2020


২৮ অক্টোবেরের পর থেকে আমি আর জান্নাতের সাথে কোন কথাই বলি নাই। সকালে না খেয়ে বাসা থেকে  না খেয়ে বের হয়ে আসি। দুপুরেও খেতে যাইনা। রাতে রাসায় গিয়ে রান্না করে খাই, আমি বাসায় গেলেই অনজুমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। আনজুমাকে আদর করতে করতে ভাত হয়ে যায়। 

জান্নাত কোন কারন ছাড়াই অনজুমাকে যাতা বলে বকা বকি করে। যেমন গলাটিপে মেরে ফেরবো, জবাই করে দিবো, ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি কোন কথার উত্তর দেই না।জান্নাত যা খুশি তাই বলে যাচ্ছে। উত্তর দিতে গেলেই তো কথা বাড়বে তাই চুপ করে থাকি। রাগ হলেও কিছু বলিনা।

অনজুমার দিকে তাকালে খুব কষ্ট লাগে। 

কিন্তু কি বলবো, মানুষ হলেতো কথা শুনতো , বুঝতো। 

অনজুমা মেয়েটা অনেক শুকিয়ে গেছে। ঠিক মতো খেতে পায় না। খাবারের অভাব নাই। ঘরে মিষ্টি, সন্দেশ, বিভিন্ন ফল, বিস্কুট, কেক থাকে। কিন্তু খাওয়াবে কে ? একবার দুবার চেষ্টা করে খাওয়ানোর জন্য না খেলে আর চেষ্টা নাই। ক্ষুধায় কান্না করলেই শুরু হয় শুরু হয় মারধর এবং গালিগালাজ। দেড় বছরের বাচ্চা কিছুই বলতে পারে না।

মেযের মা সারাদিন ফেসবুক আর ঘুম। ঘন্টায় ঘন্টায় মেয়েকে ঘুম পড়ানো জন্য যাতা বলা হয়। ঘুম থেকে উঠেছে ঘন্টা পার হয়নি । আবার মেয়েকে বকাবকি শুরু ঘুমা না হলে, বেলকনি থেকে ফেলে দিবো, জবাই করে ফেলবো, গলাটিপে মেরে ফেলবো ইত্যাদি।

গত ২ অক্টোবর রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে জান্নাত হঠাৎ গালিগালাজ শুরু করে দিলো। যেমন তুই কোনদিন সুখি হতে  পারবি না, আমারে নির্যাতন করতেছিস,আরো কতো কি যা বলার ভাষা নাই।আমি কোন কথার উত্তর দিলাম না। ঘন্টখানেক চুপ থেকে যখন দেখলাম আর সহ্য হচ্ছে না তখন বিছানা ছেড়ে উঠে, জামা প্যান্ট পরে যখন বেরিয়ে যেতে চাইলাম তখন  জান্নাত উঠে এসে আমাকে থামাতে চেষ্টা করলো। এবং বললো, মেয়ের জন্য হলেও যেওনা ঘরে থাকো। তবুও আমি কোন কথার উত্তর দিলাম না। আবার ড্রেস পরিবর্তন করে শুযে পড়লাম।

No comments:

Post a Comment

শুধু সন্তানের জন্য

 আমি চরম অসহায়। জীবন যুদ্ধে যার সাথে মাঠে নেমেছি  সেই আমার প্রতিদ্বন্দি। সে আর কেউ নয় আমার স্ত্রী। কেন বলছি কারন, আমার আয় করা টাকা থেকে বছরে...