আজ ২৮ জুন ২০২১,
গতরাতের কথা। আমি অফিসে শেষ করে বাসায় ফিরি রাত সাড়ে ১১টায়। রাস্তায় যারার সময় রিক্সায় বসে কথা বলেছি জান্নাতে সাথে বাড়ির সামনে গিয়ে ফোন কেটেছি। আমার কাছে ৫ লিটারের পানির বোতল এবং কাদামাটি ভর্তি একটি ৮ লিটারের ফুলের টব। তাই ফোন কেটে দিতে বাধ্য হয়েছি। এগুলো হাতে নিয়ে সিড়ি বেয়ে ছয় তলায় উঠতে হবে। ছয় তলায় আমার ভাড়া বাসা। যাইহোক সিড়িবেয়ে উঠে, মাত্র ফ্যানের সামনে দাড়িয়েছি। আবার জান্নাতের ফোন। আমি রিসিভ করে বললাম যে, কেবল মাত্র ঘরে ঢুকেছে এখনো জামা-িপ্যান্ট খুলে পারিনি। আমি কাপড় খূলে হাতমুখ ধুয়ে তোমাকে ফোন করছি।
জান্নাত বলল- আমার ভালো লাগছে না তাই তোমাকে ফোন দিলাম।
এখন করোনার পরিস্থিতিও খুব খারাপ। তাই যতদ্রুত সম্ভব সাবান দিয়ে হাতমুখ ধুতে হবে। সবই জান্নাত জানে তারপরও আমাকে কেন এতো নির্যাতন বুঝতে পারিনা।
আমি বললাম- আচ্ছা ঠিক আছে। আমি হাতমুখ ধুয়ে তোমাকে ফোন করছি।
জান্নাত উত্তরে বললো- থাক আর কল দিতে হবেনা। তুমি তোমার বাপ-মা নিয়ে থাকো।
প্রচন্ড রাগে কান্না চলে আসছিলো এটা ভেবে যে, কোন পাপের শাস্তি স্বরুপ আল্লাহ আমাকে এমন একটি অমানুষের সাথে জুড়ি মিলালো । আমি তো কোনদিন কারো পাকা ধানে মই, বা বাড়া ভাতে ছাই দিতে যাইনি। তাহলে আমার জীবনটা কেন েএমন হলো।
কিছু না বলে ফোন কেটে দিলাম।
বাথরুমে হাতমুখ ধুতে ঢুকলাম। শব্দ শুনছি ফোন বাজছে। হাতমুখ ধুয়ে এসে দেখি আমার বস বিটু ভাই তিনটা কল দিয়েছে। আমি সাথে সাথে বিটু ভাইকে কল করলাম। বিটু ভাই বললো -আমার মিটারে টাকা নাই, ( বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার টাকা রিচার্জ করতে হয় ) যে কোন সময় বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যেতে পারে কিছু করো। আমি সাথে সাথে বেশ কয়েক জায়গায়ে ফোন করে বিকাশে টাকা আনার চেষ্টা করতে লাগলাম। এর মধ্যে জান্নাত বারবার ফোন করেই যাচ্ছে। ফোন রিসিভ করে আমি জান্নাতকে বললাম একটু পরে কল দিচ্ছি। অপেক্ষা করো কাজটা শেষ করি। জান্নাত কোন উত্তর না দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করলো- এত রাতে কার সাথে কথা বলছো ? ফোন বিজি পাচ্ছি কেন ?
আমি কোন কিছু বলার আগেই নিজের ইচ্ছা মতো যা খুশি বলা শুরু করলো। আমি কোন উত্তর না দিয়ে কল কেটে দিলাম। মানুষ কখনো এতোটা অবুঝ হয়। প্রতিনিয়ত অশান্তি করা ছাড়া ভালো কোন কথা মুখ থেকে বের হয়না। তারপর আমি আর ফোন করিনি। এর মধ্যে আমি খাওয়া দাওয়া ও করতে পারিনি। সে খবর কে নেয়। শুধু ..............
আধঘন্টা পর রাত ১টার দিকে তখন সকর কাজকর্ম শেষ করে খেতে বসেছি। তখন আবার জান্নাত ফোন দিলো ফোন রিসিভ করতেই আমি হ্যালো হ্যালো করছি কোন উত্তর না শুধু আমার মেয়ে আনজুমার চিৎকার করে কান্নার শব্দ শুনতে পা্চ্ছি। আমার বুঝতে বাকি রইরো না যে, আমার উপর রাগ করে নিশ্পাপ শিশুটিকে মারছে। আমাকে কিছুক্ষন মেয়ের কান্না শুনিয়ে ফোনটা কেটে দিলো। ঘন্টা দেড়েক আগে রিক্সায় বসে কতো সুন্দর কথা হলো জান্নাতে সাথে কিন্তু হঠাৎ কি এমন ঘটল যে , অমার উপর এমন মানিসিক টর্চার করছে বুঝতে কষ্ট হয়। তার পর যে মেসেজটা জান্নাত আমাকে পাঠালো সেটা ইমেজ আকারে তুলে ধরলাম।
আজ থেকে দেরমাস আগে আমি ওকে ওদের বাড়িরেখে এসেছি। এর মধ্যে ওর সাথে মেলামেশার সম্পর্ক কি । আমার জানা মতে আমি কোন দিকে থেকে ওকে অসুখি রাখিনাই। ঢাকায় আমার সাথে থাকাকালীন সপ্তাহে ২/৩ দিন আমরা মেলামেশা করি। আমরা আধঘন্টা থেকে ৪০ মিনিট সময় অতিবাহিত করি তারপরও এমন কথা শুনলে কষ্ট লাগে।
No comments:
Post a Comment