Friday, April 1, 2022

০১.০৪.২০২২


 আজ শুক্রবার অফিসে আসার কোন পরিকল্পনা ছিলো না। আর যদিও আসতে হয় তাহলে হয়তো সন্ধ্যায় আসতে হতে পারে। কিন্তু আমার বস হঠাৎ ফোন করে জানালেন ৩টার সময় প্রোগ্রাম আছে আড়াইটায় চলে আসবা। চাকরী করি তাই শত অনিচ্ছা থাকলেও আসতে হবে। 

নিজের অনিচ্ছা , কষ্ট বসদের কাছে কোন পাত্তা না। বিশেষ করে আমার বসের কাছে তো নাই.................

প্রতিনিয়ত নিজের কষ্ট নিজের ভিতর লুকিয়ে রাখতে হয়। হয়তো মানুষ এমন অসহায় হলে পরিবার থেকে সাপোর্ট পায় বা শান্তনা পায়। কিন্তু আমার পরিবার বলতে শুধু আমার আড়াই বছরের মেয়ে আর অমানুষ একটা বউ। অমানুষ বলার কারন হলো কোনদিন কোন কাজে কখনো আমাকে সহযোগীতার হাত বাড়ানোর সাধ্য তো নাই , শুধু অতিষ্ট করা যন্ত্রনা, আর অকথ্য ভাষাজ্ঞান ছাড়া এর ভিতর আর কিছুই নাই। 

প্রতিদিন বিকালে ফোন করে বলবে- রাস্তাদিয়ে বিটারা যাচ্ছে আর তুমি অফিসে বসে আছো। আমার ভালো লগাছে না। ঐ বিল্ডিয়ের ঐ বিটা তার বউকে নিয়ে ঘুরছে, ইত্যাদি ইত্যাদি সব অসামঞ্জস্য কথাবার্তা। যা যে কোন মানুষকে অতিষ্ট মুহূর্তেই অতিষ্ট করে তোলে। 

তাই বসের হুকুম মতো জুম্মার নামাজ পড়ে না খেয়ে চলে এলাম অফিসে। অফিসে আসার পর ১০ মিনিট পর পর ফোন কখন আসবা বাসায়। আমার ভালো লাগছে না। আমি এভাবে আর সংসার করতে পারবো না। আমাকে খুলনায় দিয়ে আসো। কি বালের চাকরী করো ......................। আর বিটারা চাকরী করেনা । আরো কতো কি। 

মানুষের মধ্যে থাকি তাই কথার উত্তর দিতে পারিনা। কিন্তু মনের ভিতরটা খেয়ে যায়। কারন সারাদিন অফিসে বসের নানান কথা শুনি । বউয়ের বকাঝকাও শুনি । কোথায় যাবো ??? 

আমি শুধু বলি পরে কথা বলছি কাজে ব্যস্ত আছি। তাতে আরো বেশি কথা শুনতে হয়। মাঝে মাঝ মনে হয় আমি মনে হয় সবার চাকর হয়ে জম্মেছি। সবাই শুধু বলবে আর আমি মুখ বুজে শুনবো।

অফিসে একটা জরুরী কাজে বা কোন প্রোগ্রামে থাকলে যদি এমন বার বার ফোন করতে থাকে তাহলে মান সম্মান কোথায় যায়। এই কথা ওনাকে কয়েক হাজারবার বোঝানো হয়েছে তারপরও উনি বোঝেননা । প্রতিদিন এমন কাজ করছে তো করছেই। 

আমি দোয়া করি আমার শ্বশুর শ্বাশুড়ির ঘরে এমন একটা বউ আসুক। যাতে করে তার বুঝতে পারে তাদের মেয়ের কি যোগ্যতা। 

নাম জান্নাতুল ফেরদাউস কিন্তু মুখের ভাষা এতটাই কর্কট ও জগন্য যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা। ভাষার সাথে সাথে কপাল মুখ চুচকিয়ে, ঘুচিয়ে যা করে, সেটা যে কি জগন্য তা বলার নয়। 

আল্লাহর ৩০টা দিন এমন যন্ত্রনা সহ্য হয় না। করতেও চাই না। কিন্তু আমার নিস্পাপ মেয়েটার মুখের দিকে তাকালে কান্ন এসে যায়। মেয়েটাও চরম অত্যাচারে থাকে। শুধু অপেক্ষা মেয়েটা একটু বড় হোক, বুঝতে শিখুক। বাকিটা আল্লাহর হাতে .................................................................

No comments:

Post a Comment

শুধু সন্তানের জন্য

 আমি চরম অসহায়। জীবন যুদ্ধে যার সাথে মাঠে নেমেছি  সেই আমার প্রতিদ্বন্দি। সে আর কেউ নয় আমার স্ত্রী। কেন বলছি কারন, আমার আয় করা টাকা থেকে বছরে...