সকাল ১০টায় অফিসে অসার পর এক এক করে কাজের চাপ বাড়তে থাকে। এর মধ্যে জান্নাত বার বার ফোন দিতে থাকে। ফোনে জান্নাতের একটাই কথা, আমার মন ভালো লাগছে না।
কখন অফিসে থেকে আসবা ?
আমি এখন কি করবো ?
জান্নাতের এসব প্রশ্নের কোন উত্তর আমি খুজে পাইনা। কারন ঘন্টা দুয়েক আগে বাসা থেকে এলাম। মানুষের সামনে না পারি কোন উত্তর দিতে। না পারি বুঝিয়ে কিছু বলতে। চুপচাপ জান্নাতের কথা হজম করতে হয়।
যাই হোক এভাবেই সকালের অফিস শেষ করে ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যো বাসায় পৌছে গেলাম। গোসল খাওয়া দাওয়া। শেষ করে মেয়ের সাথে জান্নাতের সাথে একটু দুষ্টিুমি করে সাড়ে চারটার সময় অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা করলাম। সাড়ে ৬ টার দিকে আবার ফোন শুরু হলো। জান্নাতের ভাষার কোন পরিবর্তন নাই। সেই একই রকম কথা কখন আসবা ? অফিসে কি করো ? আমি এখন কি করবো, আমার মন ভালো লাগছে না। কিছু ভালো লাগছে না। তুমি স্বামী নামের কলঙ্ক । আমাকে একটুও সময় দাও না।
তখন আমি বললাম এইযে, সাড়ে চারটা পর্যন্ত বাসায় থাকলাম তখন কাকে সময় দিয়েছি ? তার পর জান্নাতের যে সব ভাষা বের হতে লাগলে তা উচ্চারন করাও লজ্জাকর।
জান্নাত সবই জানে তারপরও আমাকে যন্ত্রনা দিয়ে কি পায় । এক আল্লাহ জানে।
ওর ভিতরে তীল পরিমান লজ্জা নাই। এতো বুঝালাম, বকাঝকা করলাম, গায়ে পর্যন্ত হাত তুললাম, ওর বাবা মাকে অপমানর সাথে কথা বললাম তারপরও বাজে স্বভাব বদলালো না।
যে মেয়ে নিজের বাবা মাকে অপমান করতে পারে তার মধ্যে আবার কি গুনাগুন থাকতে পারে আর মানুষকে ভালো রাখার গুন তো দুরের কথা।
আমার মেয়ের কথাতো বাদই দিলাম। কথায় কথায় মেয়েকে গালিগালাজ করতে থাকে। চিতকার করে বাজে কথা বলতে থাকে। মেয়ের বয়স মাত্র তিন বছর।
তিন বছরের মেয়ে যদি তার ভূলের কারনে এমন বাজে বাজে কথা শোনে, তাহলে যে ধামড়ি বকছে তার ভূল হলে তাকে কি করা দরকার ?
No comments:
Post a Comment