আমি চরম অসহায়। জীবন যুদ্ধে যার সাথে মাঠে নেমেছি সেই আমার প্রতিদ্বন্দি। সে আর কেউ নয় আমার স্ত্রী। কেন বলছি কারন, আমার আয় করা টাকা থেকে বছরে একবার রমযান মাসে আমি আমার বাবার নামে ২০০০ টাকার ইফতার দিতে হলেও তার অনুমতি নিতে হবে। যদি না নেই তাহলে শুনতে হয় অকথ্য ভাষার গালিগালাজ। তাই আমি ওকে জারজ সন্তান বলি কারন। যদি কোন বাপের জন্ম দেয়া হতো। তাহলে নিশ্চই আমার বাপের উপর ওর দরদ থাকতো। তার নামে ইফতার দিলে ওর গায়ে আগুন জ্বলতো না। ভালো ঘরের, বা বৈধ বাবা মায়ের সন্তান হলে। ও আমাকে বলতো যে, তোমার আর কোন ভাইবোন করুক না করুক তুমি তোমার বাপের নামে প্রতি বছর রোজাদারদের ইফতার করাবে তাতে ওনার আত্মার শান্তি পাবে। আমারাও একদিন মারা যাবো, আমাদের সন্তানেরা যাতে এই শিক্ষা পায়। সেভাবে চলবে। তারাও যেন আমাদের পরকালের শান্তির জন্য কিছু করে। কিন্তু তেমনটি শুধু কল্পনাতেই মানায়।
আরেকটা ঘটনা বলি, আমার মা জীবনে একবার বড় হজ্বে করেছে। আমার খুব ইচ্ছা ছিলো তাকে সামান্যে সহযোগীতা করা। কিন্তু স্ত্রী রুপী এই জারজ সন্তানের জন্য তাও হয়ে ওঠেনি। আমার আয় রোজগার কম। কিন্তু যথেষ্ট ভালো রেখেছি ওকে। যখন যেটা চায় সেটা হাজির করার চেষ্টা করেছি। যাই হোক আমার মার যেদিন হজ্বের ফ্লাইট সেদিন আমি ওকে বললাম ১০ হাজার টাকা দাও , আম্মাকে দিয়ে দেই । আমাদের অনেক ছওয়াব হবে। আমার কথা শোনামাত্র শুরু হয়ে গেলো কেয়ামত। তখন রাত ১১ টা বাজে। তখন যে আমার ঘরে টাকা নাই তাও নয়। তখন ২ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা আমার ঘরে যা কিনা আমার সম্বল। এটা ছাড়া আমার আর কোন টাকা পয়সা নাই। তারপরেও মাকে হজ্বে যাওয়ার সময় ১০ হাজার টাকা দিলে টাকা কমে যেতো না হয়তো , খোদার রহমতে আর বাড়তো। চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী তেমন অবস্থা আমার স্ত্রীর । আমাকে তুই তামারি করে এতো বিশ্রি ভাষায় গালিগালাজ শুরু করলো যা ভাষায় প্রকাশ করার না। আমাকে আমার মায়ের শোয়াতে চায়। বলে তুই তোর মার সাথে থাকবি আর আমার কাছে আসবি না। এসব আচরনের কারনেই আমি আমার স্ত্রীকে জারজ বলি।
No comments:
Post a Comment