Friday, October 30, 2020

Friday, November 30

Today is Friday, November 30

Everyone's office is closed on Friday, but the opposite is true for me. I have no Fri-Sat, or official off. You have to run whenever the phone rings.

The salary is not so much. Somehow it has to go on. Like every Friday, I woke up a little today. The reason for waking up on Friday afternoon. Does not want to go to the office. But what to do. Such is the irony of fate.

I have not spoken to Jannat since the 26th. I ate rice with water at night and went to bed. I caressed Anjuma coming to my chest with Hapur. Rolling down again. As soon as Anjuma goes to Jannat, Jannat is eating. When he gets up in his lap, he sometimes pushes it away. Anjuma is screaming and crying. I am holding Anjuma's cries with my lap. I am very angry with the baby girl who is using such things for no reason. Even then I am lying quietly.

In the meantime,
a call came from the office. I got dressed and left. After 10 minutes, Jannat started calling. I didn't pick up the phone. He started abusing me through messages. I did not answer.

I called my father-in-law and told him everything and told him to take your daughter. I can't stand it anymore.

..........................................................................................................................................

৩০ নভেম্বর শুক্রবার

শুক্রবার সবার অফিস বন্ধ থাকলেও আমার বেলায় উল্টো। আমার কোন শুক্র-শনি, বা সরকারী বন্ধ নাই। যখনই ফোন আসে তখনই দৌড়াতে হয়।

বেতনটাও তেমন নয়। কোনরকম চলতে হয়। প্রতিশুক্রবারের মতো আজও একটু বেলা করে উঠলাম। শুক্রবারে বেলা করে ঘুম থেকে ওঠার কারন হলো। অফিসে যেতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু কি করার । ভাগ্যের এমনই পরিহাস। 

২৮ তারিখের পর থেকে আমি আর জান্নাতের সাথে কোন কথা বলিনি। রাতের পানি দেয়া ভাত খেয়ে আমি শুয়ে রইলাম। আনজুমা হাপুর দিয়ে দিয়ে আমার বুকে আসছে আমি আদর করিছি। আবার গড়িয়ে নেমে যাচ্ছে। আনজুমা জান্নাতের কাছে গেলেই জান্নাত খেই খেই করে উঠছে। কোলে উঠতে গেলে মাঝে মাঝে ধাক্কা রেমে ফেলে দিচ্ছে। আনজুমা চিৎকার করে কেদে উঠছে আমি তখন  কোলে নিয়ে আনজুমার কান্না থামাচ্ছি।শিশু মেয়ের সাথে বিনা কারনে এমন যাতা ব্যবহার করছে আমার খুব রাগ হচ্ছে। তারপরও চুপচাপ করে শুয়ে আছি। 

এরই মধ্যে অফিস থেকে ফোন এলো। জামা কাপড় পড়ে রওনা দিলাম।১০ মিনিট পড়ে জান্নাত ফোন দিতে শুরু করলো। আমি ফোন ধরলাম না। মেসেজের মাধ্যমে আমাকে যাতা গালিগালাজ করতে লাগলো। আমি কোন উত্তর দিলাম না। 

আমার শ্বশুরকে ফোন করে সবকথা খুলে বললাম এবং বললাম আপনার মেয়েকে আপনি নিয়ে যান। আমি আর সহ্য করতে পারছি না।

November 28, 2020.




November 28, 2020.

I finished my lunch and rested at home till 4:30 pm and came to the office. At about 10 o'clock at night, Jannat called from an unknown number. I'm very sick, come home soon. But I didn't think he was sick. Paradise often speaks like that so don't believe it.


I never dreamed of what I saw when I came home. Inside the room with the door open, everything is scattered on the broken floor, including all the glassware, just like when other things are stolen randomly, the only difference is broken things. Thieves do not break things.


I entered the house and did not find anyone by shouting. I also found Jannat's phone off. Later I called that unknown number. A woman from the other end said, your wife is gone.


When I went and knocked on the door, I opened the door and saw Jannat standing there. The woman opened the door and said to me, why did you talk to her? I was amazed when you said that. And the biggest thing is that I am you with my wife, you have to learn what you said from the woman in flat 9. But 2 minutes ago this woman said your wife is gone.


I told Jannat to go home. Where is Anjuma? Bring him. The two of us went home. I told Jannat


- What have you done?


What happened?


Who listens to whom. I started using awkward language while standing at the foot of the stairs outside the house.


Without any reason, my values ​​were reduced to dust.


I found out later that


15/16 years ago today, I had a relationship with a girl named Ranu, Chandpur, Comilla district, on my mobile number. Later in a month in 2009 I went to see Ranu with my elder sister-in-law. This is the only time I have met Ranu in my life.


There was talk of paradise with that Ranu. The result is this unrest. Fire in the world of peace. What am I doing for? For whom I have been shedding my blood day after day..

.................................................................................................................................

 ২৮ নভেম্বর ২০২০। 

আমি দুপুরের লাঞ্চ শেষ করে বাসায় সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিশ্রাম নিয়ে অফিসে আসলাম। রাত আনুমানিক ১০ টার সময় জান্নাত একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে কল করে বলল। আমি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছি, জলদি বাসায় আসো।কিন্তু কথা শুনে মনে হলো না ও অসুস্থ। জান্নাত প্রায়ই এমন কথা বলে তাই বিশ্বাস হলো না। 

বাসায় এসে যা দেখলাম তা কোনদিন স্বপ্নেও ভাবিনি। দরজা খোলা ঘরের ভিতর সব কাচের জিনিসপত্রসহ সব কিছু ভাঙ্গা মেঝেতে ছড়ানো, অন্যান্য জিনিসপত্র এলোমেলো বাসা চুরি হলে যেমন থাকে, তেমন , পার্থক্য শুধু ভাঙ্গা জিনিসপত্র। চোর জিনিসপত্র ভাঙ্গেনা।

ঘরে ঢুকে ডাকাডাকি করে কাউকে পেলাম না।জান্নাতের ফোনটাও বন্ধ পেলাম। পরে সেই অপরিচিত নাম্বারে ফোন করলাম। অপরপ্রান্ত থেকে এক নারী বললো, আপনার স্ত্রী চলে গেছে।

আমি গিয়ে সেই বাসায় নক করলে দরজা খুলা মাত্র দেখলাম জান্নাত দাড়িয়ে আছে।ঐ মহিলা দরজা খুলেই আমাকে বললো, আপনি উনার সাথে তুই করে কথা বললেন কেন? আমি অবাক হয়ে গেলাম কখন তুই করে বললাম।আর সবথেকে বড়ো কথা হলো আমার স্ত্রীর সাথে আমি তুমি, তুই কি বললো তা ৯নং ফ্লাটের মহিলার কাছে শিখতে হবে। অথচ ২ মিনিট আগে এই মহিলাই বলেছে আপনার স্ত্রী চলে গেছে। 

আমি জান্নাতকে বললাম বাসায় চলো। আনজুমা কোথায়? ওকে নিয়ে আসো।আমরা দুজন বাসায় ‍গেলাম। জান্নাতকে বললাম

- এসব কি করেছো তুমি ?

কি হয়েছে ?

কে কার কথা শুনে। ঘরের বাইরে সিড়ির গোড়া্য় দাড়িয়ে বিশ্রি বিশ্রি ভাষা ব্যবহার করতে লাগলো।আমি অফিসের নাম করে মেয়েদের সাথে কুকর্ম করে বেড়াই ইত্যাদি।

কোন কারন ছাড়াই আমার মান সম্মন ধুলোয় মিশিয়ে ফেললো। 

পরে জানতে পারলাম যে,

আজ থেকে ১৫/১৭ বছর আগে কুমিল্লা জেলার চাঁদপুর, রানু একটি মেয়ের সাথে মোবাইলে রং নাম্বারে আমার সম্পর্ক হয়। পরে ২০০৯ সালের কোন একমাসে আমার বড় ভাবীকে নিয়ে রানুকে দেখতে যাই। রানুর সাথে আমার জীবনে এই একবারই দেখা হয়।

সেই রানুর সাথে নাকি জান্নাতের কথা হয়েছে। তার ফল এই অশান্তি। শান্তির সংসারে আগুন। কার জন্য আমি কি করছি? কার জন্য নিজের রক্ত পানি করে চলেছি দিনের পর দিন।

Tuesday, October 13, 2020

Unnecessary unrest

Unnecessary unrest

...................................................




Last 13/10/2020. Father is staying at his brother's house in Dhaka for treatment. Where Abba Amma is having trouble staying for various reasons. There is no pain to stay and eat, the pain is just mental torture. All over the country the mother-in-law suffers from such pain by the son's wife.

I'm back home from the office at noon talking on the phone with my parents, siblings. I talk and look at paradise from time to time. Jannat frowned and uttered an expression of extreme annoyance on his face. And is abusing Anjuma for no reason. Jannat said while talking to Husna. You can't recover from these things in the office. I did not answer.

I finished talking and sat down to eat. Jannat suddenly said that my parents are very simple. They are children to your parents. I said speak well. Don't talk like the devil.

There was no more talk that day. Office after lunch. Return home at night from the office

I told Jannat to eat quickly, you are very hungry. Jannat Lakshi gave to the field as fast as a girl. There is rice, there is no curry. There is a little bit of vegetable frying. The frying of vegetables was over but the rice remained. Anyway, I told Jannat to give me a raw chilli. I ate rice with raw chilli and went to bed with a little rest. Jannat wakes me up at 3 o'clock at night and says, I feel very bad, put your hand on my head a little.

I said why do you feel bad, what happened?

Jannat said I don't know.

Anyway, I turned my head a little.

Raw sleep was broken so sleep was not coming. I didn't know when that eye came to light. It was about 9 o'clock in the morning when I woke up. Office meeting at 10:30. Mr. Rafiq Sahib, Chairman of Ahsania Mission will come.

I'm brushing my teeth in a hurry. Jannat said be ready, I gave you the rice.

I washed my hands and started wearing clothes.

Jannat said- don't eat. I said it would be late now at nine o'clock.

Paradise - this is your plan to hurt me. I would not have cooked before. You are burning me to death. I don't like my family anymore. Etc.

I said what are you starting these. You know very well why I'm going around. I told you, what does it mean to do these things?

Paradise all your plans do not want me to live in peace. After that if I ever get up to cook in the morning then I am not a Muslim girl.

I laughed and said are you a Muslim girl?

Jannat replied, "You are not the son of a Muslim."

Without any reason, if he does that in a small matter, whose blood is cold?

The fact is that yesterday I talked to my parents, brothers and sisters. Because of this he is irritated. But why? Why doesn't Jannat want me to have a relationship with my parents, brothers and sisters? What a human character it is. They did not damage the hair of Paradise.

.............................................................................................................................................................

 গত ১৩/১০/২০২০ইং তারিখ। আব্বা ঢাকায় ভাইয়ার বাসায় থাকছে চিকিৎসার জন্য। যেখানে বিভিন্ন কারনে আব্বা আম্মার থাকতে কষ্ট হচ্ছে। থাকা খাওয়ার কোন কষ্ট নাই, কষ্ট শুধু মানষিক অত্যাচার। দেশের সর্বত্র ছেলের বউ দ্বারা শ্বশুর শাশুড়ি যেমন যন্ত্রনায় ভোগ করে।

আমি দুপুরে অফিস থেকে বাসায় ফিরে আব্বা আম্মা , ভাই-বোন, এর সাথে ফোনে কথা বলছি। আমি কথা বলছি আর জান্নাতের দিকে মাঝে মাঝে তাকাচ্ছি। জান্নাত কপাল কুচকিয়ে মুখে চরম একটি বিরক্তির ভাব ফুটিয়ে তুলেছে। আর আনজুমার সাথে কোন কারন ছাড়াই বাজে ব্যবহার করছে। হুসনার সাথে যখন কথা বলছি তখন জান্নাত বলে উঠলো। এসব কথা অফিস থেকে সেরে আসতে পারো না। আমি কোন উত্তর দিলাম না। 

কথা শেষ করে খেতে বসলাম। জান্নাত হঠাত বললো আমার বাবা-মা অনেক সহজ সরল । তোমার বাপ-মার কাছে তারা শিশু। আমি বললাম কথা ভালো ভাবে বলবা। শয়তানের মতো কথা বলবা না। 

সেদিন আর কোন কথা নাই । লাঞ্চ শেষ করে অফিস। অফিস থেকে রাতে বাসায় ফেরা্

জান্নাতকে বললাম দ্রুত খেতে দাও খুব ক্ষিদে পেয়েছ। জান্নাত লক্ষি মেয়ের মতো দ্রুত ক্ষেতে দিলো। ভাত আছে তরকারি নাই । সামান্য একটু শাক ভাজি আছে। শাক ভাজি শেষ কিন্তু ভাত ধরাই রয়ে গেলো। যাই হোক জান্নাতকে বললাম একটি কাচা মরিচ দাও।কাচা মরিচ দিয়ে ভাত খেয়ে একটু রেষ্ট নিয়ে শুয়ে পড়লাম। রাত ৩টার দিকে আমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে জন্নাত বলছে, আমার খুব খারাপ লাগছে, একটু মাথায় হাত বুলিয়ে দাও।

আমি বললাম কেন খারাপ লাগছে, কি হয়েছে ?

জান্নাত বলল জানিনা। 

যাই হোক মাথাই সামান্য একটু হাত বুলিয়ে দিলাম। 

কাচা ঘুম ভেঙ্গে গেছে তাই আর ঘুম আসছিলো না। কখন যে চোখ বুজে এসেছে টের পাইনি। সকালে ঘুম ভা্ঙ্গতে ভাঙ্গতে প্রায় ৯টা। সাড়ে ১০টায় অফিসে মিটিং। আহছানিয়া মিশনের চেয়ারম্যান রফিক সাহেব আসবে। 

আমি তড়িঘড়ি করে দাত ব্রাশ করছি। জাান্নাত বললো তুমি রেডি হও আমি ভাত তুলে দিছি।

আমি হাতমুখ ধুয়ে কাপড় পড়তে শুরু করলাম। 

জান্নাত বললো- খেয়ে যাবানা। আমি বললাম দেরি হয়ে যাবে এখনি নয়টা বাজে।  

জান্নাত-এটা তোমার প্লান আমাকে কষ্ট দেয়ার জন্য।আমি কষ্ট করে ভর্তা ভাত রান্না করছি আর এখন তুমি না খেয়ে যাচ্ছ। আগে বললে রান্না করতাম না। আমারে জ্বালায়ে পুড়ায়ে শেষ করে ফেলতিছো। আমার আর সংসার ভালো লাগেনা। ইত্যাদ।

আমি বললাম এগুলো কি শুরু করছো তুমি। কেন, তরিঘরি করে যাচ্ছি তুমি ভালো করেই জানো। তোমাকে বললাম তারপরও এগুলো করার মানে কি ?

জান্নাত সব তোমার প্লান আমাকে শান্তিতে থাকতে দিতে চাও না। এর পর যদি আমি আর কখনো সকালে রান্না করতে উঠি তাহলে আমি মুসলমানের মেয়ে না। 

আমি হাসাতে হাসাতে বললাম তুমি কি মুসলমানের মেয়ে ?

জান্নাত উত্তর দিলো, তুই মুসলমানের ছেলে না।

কোন কারন ছাড়া, সামান্য বিষয়ে যদি এমন করে তাহলে,  কার রক্ত ঠান্ডা থাকে ?

আসল কথা হলো গত কালকে আমি আমার আব্ব-আম্মা , ভাই-বোনের সাথে কথা বলেছি। এই কারনে ওর গায়ে জ্বালা ধরে গেছে। কিন্তু কেন ? কেন জান্নাত চায়  না যে, আমি আমার বাবা মা, ভাই বোনের সাথে সম্পর্ক রাখি। এটা কি কোন মানুষের চরিত্র। তারা তো জান্নাতের চুল পরিমান ক্ষতি করেনি। 


শুধু সন্তানের জন্য

 আমি চরম অসহায়। জীবন যুদ্ধে যার সাথে মাঠে নেমেছি  সেই আমার প্রতিদ্বন্দি। সে আর কেউ নয় আমার স্ত্রী। কেন বলছি কারন, আমার আয় করা টাকা থেকে বছরে...