Thursday, June 2, 2022

03.06.2022



 আজ প্রায় ১ বছর পর আবার প্রচন্ডভাবে অত্যাচারিত হয়ে জান্নাতকে কয়েকটা চড় থাপ্পড় মারলাম।

তখন সকাল সাড়ে ৬টা। জান্নাত প্রচন্ড বেগে চিল্লাতে লাগলো। এই ওঠো, এ-ই এ-ই। আমি ধরফরিয় লাফিয়ে উঠে, জান্নাতকে বললাম কি হয়েছে বলো। জান্নাত আমার দিকে তাকিয়ে একরাশ ঘৃনার ভরা চোখে তাকিয়ে, ঝাঁজালো কন্ঠে চিৎকার করতে লাগলো - এভাবে ক সংসার হয়ে?  এভাবে মানুষ বাঁচতে পারে?এটাকে কি জীবন বলে?

আমি হাত ইশারা করে বললাম আস্তে,আস্তে সাত সকালে তুমি এমন করছো কেনো?  কি হয়েছে বলো?  দাতে ব্যাথা বেড়েছে নাকি শরীর খারাপ লাগছে? 

জান্নাত বললো আরে রাখো তোমার দাতে ব্যাথা। তুমি আমাকে একটুও আদর করনা, আমার কাছে আসোনা, ইত্যাদি ইত্যাদি বকবক করতে লাগলো।

আমার বুকের উপর পা তুলে দিয়ে গলা জড়িয়ে শুয়ে থাকা আমার কলিজার টুকরো টাকে আস্তে করে পাশে সরিয়ে দিয়ে জান্নাতে হাত বাড়িয়ে ডাকলাম, আসো কাছে আসো। এখানে পাশে শুয়ে পড়ো। ২ থেকে ৩ বার ডাকলাম কিন্তু কাছে না এসে জান্নাত বললো তোমার কিছু আছে?  কোনো অনুভূতি আছে?  তুমি তো হিজড়া হয়ে গেছো। 

আমি আরও কোনো কথা না বাড়িয়ে পাশ ফরে চুপচাপ শুয়ে রইলাম। জান্নত একা একা বকবক করতে লাগলো। আমি না শোনার ভান ধরে চুপচাপ রইলাম।

মিনিট ২ পরে জান্নাত আমার পা ধরে নাড়িয়ে নাড়িয়ে বলছে। এই কি বলছি তুমি শোনো না, শুনছো। ৩ থেকে ৪ বার এমন করার পর আমি বললাম। কি শুনবো?  তোমার এমন বাজে কথার কোন উত্তর আমার কাছে নাই।

জান্নাত উত্তর দিলো, বাজে কথা না উচিত কথা। উচিত কথা বললেই তোমার গায়ে লাগে। তখন উঠে গিয়ে কষে দুটো থাপ্পড় মারলাম। আর বললাম আমার খেয়ে পরে, আমার বুকে শুয়ে তুমি পরপুরুষের গুনগান করো,  তোমাকে অধঘন্টা করার পরেও, বলো এটুকু পারো, তোমার সব শেষ হয়ে গেছে, ১ থেকে ২ দিন তোমার কাছে না গেলে আমাকে হিজড়া বলে সম্ভোধ করছো। আবার তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা, অনুভূতি চাও।

আবার আমি যখন তোমাকে বোঝানোর শুরে বলি, তুমি এমন করে কেনো বলতেছো?  আমি তো কখনো তোমাকে কারো সাথে তুলনা করনি। তখন তোমার উত্তর আসে,  আমি হিজড়া গেছি, তোমার সাথে কারো তুলনা করার যোগ্যতা আমার নাই।

জান্নাত চুপ করে রইলো, কিন্তু এ-ই চুপ বোধোদ্বয়ের নয়। বুঝতে পারলাম যখন বিয়ের সময় পরানো আংটি ওনাকফুল খুলে ছুড়ে দিলো। আমিও কোনো কথা না বাড়িয়ে আংটি ও নাক ফলটা কুড়িয়ে এনে কাগজে পেচিয়ে যত্ন করে রেখে দিলাম। আর কোন কথা না বলে অফিসে আসার জন্য রেডি হতে লাগলাম। যদিও অফিসে আসার সময় হয়নি। জান্নাত বললো - তোমার কিডনি বিক্রি করে হলেও আমার দেন মোহর পরিশোধ করে দাও। আমি আর সংসার করবো না। আরও বললো তুমিতো আমার অত্যাচারে আত্মহত্যা করতে চাও , যাও করো গিয়ে, দেখি কেমন পারো।

আমি কোন কথা না বলে ঘর থেকে বের হয়ে চলে এলাম।

আগের দিনের ঘটটনাটা একটু বলি।

 ০১.০৬.২০২২ দুপুরে অফিস থেকে বাসায় এলাম লাঞ্চ করার জন্য। গোসল করে যখন খেতে বসলাম, আমি নিজে খাচ্ছি এবং মেয়েকে খাওয়াচ্ছি।

জান্নাত বললো- তোমার ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে তোমার শিক্ষা নেয়া উচিত। কপাল নিয়ে আইছে ওরা। সোনার কপাল। আর আমার  পোড়া কপাল।

আমি শুধু জান্নাতে দিকে একবার চেয়ে দেখলাম,  কোনো উত্তর দিলাম না। এই  কথা আমি প্রতিনিয়ত শুনছি। 

যেমন পাশের বিল্ডিংএর ওই বেটা , তার বউকে নিয়ে ঘুরতে বের হচ্ছে। ঐ বেটা এখন বাসায় তুমি কেনো এখনো অফিসে ইত্যাদি ইত্যাদি যা সহ্য করা আমার পক্ষে খুবই কঠিন হচ্ছে।

No comments:

Post a Comment

শুধু সন্তানের জন্য

 আমি চরম অসহায়। জীবন যুদ্ধে যার সাথে মাঠে নেমেছি  সেই আমার প্রতিদ্বন্দি। সে আর কেউ নয় আমার স্ত্রী। কেন বলছি কারন, আমার আয় করা টাকা থেকে বছরে...