Wednesday, November 5, 2025

নালিশ ছাড়া আর কোন মুরদ আছে ??

 প্রতিদিনের একটা ঘটনা। সকালে মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার আগে একবার মায়ের হাতে মাইর খেতে ও গালি গালাজ শুনতে হবে। আর একবার সন্ধ্যার সময় পড়তে বসলে। মাত্র ৭ বছরের শিশু মেয়ে সে। সকালের কারন টা হলো মেয়েটা ঘুম থেকে দেরি করে ওঠে। তাই স্কুলে যেতে স্বাভাবিক দেরি হবে। 
আমাদের মেয়েটা যখন কাজেকর্মে খুব স্লো তাই মেয়েকে আগে থেকে রেডি করাটা বু্দ্ধিমানের কাজ। আমি সকালে ৮টার দিকে মেয়েকে ডাকলে অর্নি আমাকে বলে ও ঘুম ভাঙ্গাচেছা কেন ? এখনো অনেক দেরী।

অর্নি মেয়েকে ঘুম থেকে ডাকা শুরু করবে। সকাল ৯টা থেকে। মেয়ে ঘুম থেকে উঠতে উঠতে সাড়ে নয়টা বেজে যায়। তারপর শুরু হয়ে যায় চিল্লাচিল্লি, গালিগালাজ। প্রতিদিন  এই নিস্পাপ শিশুটিকে কাদতে কাদতে স্কুলে যেতে হয়ে। আমি অর্নিকে হাজার বার বুঝিয়েছি যে, মেয়েটির সাথে প্রতিনিয়ত এমন ব্যবহার করে না। ওর আমরা ছাড়া কে আছে ? কে শোনে কার কথা উল্টো আমাকে বলে তুমি মেয়েটা নষ্ট করে ফেলছো।

আমি আবার বলি শোনো তুমি ওর সাথে যেমন ব্যবহার করবা ও সেই রকম ব্যবহার শিখবে। তুমি মেয়ের সাথে যতটা নমনীয় ভালো ব্যবহার করবা ও তোমার আমার সাথেও তেমন ব্যবহার করবে কারন এখন ওর শিখার বয়স, অনুকরন করার বয়স। 

মনে হয় আমার কথাগুলো ওর কানের পাশ থেকে গেছে, ভিতরে ঢোকেনি। পরের দিন সেই একই ঘটনার পূনরাবৃত্তি। মেয়েটি অশ্রুভেজা চোখে আমার কাছে এসে বলছে, বাবা দেখেছো মা আমার সাথে প্রতিদিন কেমন করে ?

আমি বললাম বাবা তুমি আল্লাহকে বলো যে, আল্লাহ যেন ওকে বুঝ দান করে। আর এটা ওর বংশীয় স্বভাব, প্রতিদিন নিয়ম করে তোমাকে আমাকে নিযার্তন না করলে ওর পেটের ভাত হজম হয়না। 

আমার ভালো কথা অর্নির কানে না গেলেও এই কথা ঠিকই বাতাসের আগেই পৌছে গেল তার কর্নগুহরে। ছুটে এসে অর্নি আমাকে বলছে , তোর মতো স্বামী আমার লাগবে না, তু্ই মরতে পারিস না। জানোয়ারের বাচ্চা।

আমি বললাম এই রকম রিএক্ট করার মতো কথা আমি তোমাকে বলিনি। 

অর্নির উত্তর দিল তোকে তালাক দিলাম, তুই আমার কেউ না। এক তালাক, দুই তালাক, তিন......।

আমি তখন কাপড় আয়রন করছিলাম, রাগে ক্ষোভে ওকে ভয় দেখিয়ে বললাম, এই টা মুখে ঠেসে ধরলে মুখের ব্যবহার ঠিক হয়ে যাবে। 

তারপর আমি আমার ছোট মামা শ্বশুরকে ফোন করে বললাম যে, আপনার ভাগ্নির ব্যবহারতো দিন কে দিন খারাপ হতে যাচ্ছে ওকে নিয়ে ঘর সংসার করা তো সম্ভব হচ্ছে না। 

মামা বললো আমি সামনের সপ্তাহে ঢাকা আসছি তোমাদের ওখানে সেই পর্যন্ত একটু কষ্ট করো। মামা মনে হয় পরের দিন অর্নিকে ফোন করে বলেছে। 

আমি বাসায় যাবার সাথে সাথে শুধু নালিশ করতে পারে, আর কোন মুরদ নাই। আমি দীর্ঘ কয়েক বছর ওর কথার তেমন কোন উত্তর দেই না। কারন এই ৮ টা বছর ওকে অনেক বুঝিয়েছি, বকেছি, গায়ে হাত তুলেছি, বিছানা আলাদা করে দিয়েছি। কোন কিছুতে কোন কাজ হয় না।  

অর্নি এবং অর্নির পরিবার পরিজন আমাকে নিয়ে সমালোচনা করতে পারবে। যেমন খুশি তেমন গালিগালাজ করতে পারবে। কিন্ত অর্নি সম্পর্কে তাদের কিছু বললে , তাদের অগোচরে উত্তর জামাই ভালো না , নালিশ করে। 

 যার জীবনে একটি খারাপ বউ পড়েছে সেই জানে যে,  একটা পুরুষের জীবন , একটি পরিবার,  একটি সমাজ ধ্বংস করতে আর কিছু লাগে না । একটি মেয়েই যথেষ্ট। একটি সুস্থ সার্মথ্য পুরুষ মানুষ অল্প দিনের মধ্যে পাগল হয়ে যেতে পারে শুধু মাত্র  একটি বাজে বউয়ের অত্যাচারে। বাংলার মানুষ শুধু বলে ‘‘নারী নির্যাতন, নারী নির্যাতন” কিন্তু একটি সাধারন পুরুষ মানুষ যে কতোটা নির্যাতিত  তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। পুরুষ না পারে কাউকে বলতে , না পারে সইতে।

স্বামীকে তার পরিবার সম্পর্কে মিথ্যা মিথ্যা বানিয়ে বানিয়ে বলে কিভাবে বিষিয়ে তুলতে হয় সেটা তার মার কাছ থেকেই শিখে আসে।  এই ধরনের বউদের একটু লজ্জা ঘৃনা থাকে না। এদের কোন নাম দেয়ার মতো নাই। হয়তো পৃথিবীতে এতো নিকৃষ্ট নাই এখনো হয়নাই। যা এদের দেয়া যায়।

Monday, November 3, 2025

থেমে নেই মানুষ রুপি অমানুষের চোহারার ভেল্কি

 বহুদিন ধরে লেখা বন্ধ করে দিয়েছি কারন আর লিখতে মন চায় না। তারপর কিছু ঘটনা লিখে রাখছি কালের সাক্ষী করে। আমার এই সন্তান যেন একদিন বুঝতে পারে ওপর মুখোর দিকে চেয়ে আমি কতোটা কষ্ট, যন্ত্র্রনা সহ্য করেছি। 

আজ ৪ নভেম্বর ২০২৫।  

এক রোযার সময় ঢাকার বন্ধুদের ইফতার পার্টি দাওয়াতে আমি উপস্থিত হতে গিয়েছি। ইফতারের সামান্য আগে অর্নি আমাকে ফোন দেয়। ইপতারের আগে তাই আমি খুব কৌতুহলী হয়েই ফোন রিসিভ করি। ফোন রিসিভ করা মাত্র অর্নি গালিগালাজ শুরু।  অতো মানুষের মাঝে আমি কোনো উত্তর দিতে না পেরে মানরক্ষার্তে, আচ্ছা, ঠিক আছে, পরে কলেজ দিচ্ছি ইত্যাদিবলে নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করছিলাম,  আর ফোনের ওপাশ থেকে একের পর এক গালি আসতে লাগলো। এ ঘটনার পর একজন মানুষের অবস্থা কি হতে পারে বুঝতে পারেন। বুঝতে পারেন এই নির্্যাতিত মানুষটির কষ্ট। 

আমার অপরাধ ছিলো,  আমি আমার মরা বাপের নামে ২০০০/- টাকা ইফতার বাবদ দান করেছি। 

তারপর আমি আমার শ্বশুরকে ফোন দিয়ে সব ঘটনা বলি, রাগে, দুঃখে এটাও বলি যে, যে মেয়ে তার স্বামীর মৃতু বাবা সম্পর্কে এমন কথা বলতে পারে সে জারজ সন্তান ছাড়া মানুষের সন্তান হতেই পারে না।


আমার শ্বশুর এবং শাশুড়ী  তাদের মেয়েকে শাসন করা বা বুঝানোর ধারে কাছে না গিয়ে উল্টো মেয়েকে নালিশ করেছে যে জামাই তোর নামে আজেবাজে কথা বলেছে। 

এরপর ঈদের সময় অর্নিকে হাতে ধরেও বাড়ি নেয়া গেল না। বলে রাখা ভালো যে আমি বাড়ি যাই শুধু দুই ঈদে। তাও বন্ধ। আশায় ছিলাম কুরবানিতে বাড়ি যাবো। কিন্তু সে সময় ঘটালো আরো নিকৃষ্টতর ঘটনা। 

আমার আম্মা হজ্জে যাবে তাই  ভাবলাম আমার সামান্য আয় থেকে যদি আম্মাকে একটু সহযোগিতা করি তাহলে দোয়া পাবো, তাছাড়া আম্মাকে একটু সাহ্যয্যে করতে পারলে ভালো লাগবে। তাই অর্নিকে বললাম আম্মা আজ হজ্জে যাচ্ছে হাজার দেক টাকা দিয়ে সহযোগিতা করি।  তারপর আর বলতে হবেনা হয়তো বুঝতেই পারছেন। সবথেকে নিকৃষ্ট কথা ছিলো হুবহু এমন- তুই আর ঘরে আসবি না। রাস্তায় গাড়ির তলে,  ট্রেনের তলে মর।

 আমি কষ্টে নরম সুরে বললাম তুমি কি বলো এগুলো।

অর্নি উত্তরে বললো, আজ থেকে তুই তোর মার সাথে শুবি, আমার ধারে আসবি না। 

আমার মনে হয় সতি বা বৈধ মায়ের সন্তান কোনো মাকে নিয়ে এমন বলতে পারে না।

এতো বছর ধরে বিনা চাওয়ায় শুধু ওকে ক্ষমা করে যাচ্ছি। আমি ওকে যত ক্ষমা করি ওর অন্যায় ততই বেড়ে চলেছে। কিন্তু শুধু মেয়েটার জন্য বড় সিদ্ধান্ত  নিতে পারিনা। 

তার কিছুদিন পর আমার আম্মার চোখে সমস্যা হলো, চোখে ঘোলা ঘোলা দেখছে। খুবই খারাপ অবস্থা। আমি বললাম ঢাকায় আমার কাছে আসেন ডাক্তার দেখাই। আম্মা বলল আমি ঠিক মতো দেখতে পাইনা, একা একা কিভাবে আসবো। পরে আমার মামার সাথে আম্মা ঢাকায় এলো। একদিন পর আমি আর অর্নি মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলাম আম্মাকে একা বাসায় রেখে। স্কুল ছুটির পর আবার দুজন মেয়েকে নিয়ে বাসায় ফিরলাম, গেটের সামনে থেকে অর্নিকে বললাম তুমি বাসায় যাও, আমি কাচা বাজার করে নিয়ে আসি। ৩থেকে৪ পদের কাচা বাজার করে ফেরার পথে অর্নির ফোন।  ফোন ধরা মাত্র বলছে তোমার মাকে এখনি বের করো, আমি ওনার সাথে থাকতে পারবো না। এমন বাজে নোংড়া মহিলার সাথে মানুষ থাকতে পারে। 

ঘরে ডুকে জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে। অর্নির উত্তর উনি কোরআন শরীফ পড়ে তাকে না রেখে ওয়্যারড্রপের উপর রেখেছে। এটা হলো আমার মায়ের মহা অপরাধ। 

কোনোভাবেই আমার আম্মাকে আর থাকতে দিলো না। পরে আমার বড় ভাইয়ের বাসা টঙ্গি রেখে আসি আম্মাকে। 

এতো নিকৃষ্ট অন্যায় অপরাধ করার পরেও ওপর ভিতর কনো অনুশোচনা নাই, উল্টো সব দোষ আমার আমি নাকি অযোগ্য স্বামী। অবশ্যই আমি অযোগ্য, কারন ওর সব অন্যায় সহ্য করতেছি। 



Saturday, October 5, 2024

শুধু সন্তানের জন্য

 আমি চরম অসহায়। জীবন যুদ্ধে যার সাথে মাঠে নেমেছি  সেই আমার প্রতিদ্বন্দি। সে আর কেউ নয় আমার স্ত্রী। কেন বলছি কারন, আমার আয় করা টাকা থেকে বছরে একবার রমযান মাসে আমি আমার বাবার নামে ২০০০ টাকার  ইফতার দিতে হলেও তার অনুমতি নিতে হবে। যদি না নেই তাহলে শুনতে হয় অকথ্য ভাষার গালিগালাজ। তাই আমি ওকে জারজ সন্তান বলি কারন। যদি কোন বাপের জন্ম দেয়া হতো। তাহলে নিশ্চই আমার বাপের উপর ওর দরদ থাকতো। তার নামে ইফতার দিলে ওর গায়ে আগুন জ্বলতো না। ভালো ঘরের, বা বৈধ বাবা মায়ের সন্তান হলে। ও আমাকে বলতো যে, তোমার আর কোন ভাইবোন করুক না করুক তুমি তোমার বাপের নামে প্রতি বছর রোজাদারদের ইফতার করাবে তাতে ওনার আত্মার শান্তি পাবে। আমারাও একদিন মারা যাবো, আমাদের সন্তানেরা যাতে এই শিক্ষা পায়। সেভাবে চলবে। তারাও যেন আমাদের পরকালের শান্তির জন্য কিছু করে।  কিন্তু তেমনটি শুধু কল্পনাতেই মানায়।

আরেকটা ঘটনা বলি, আমার মা জীবনে একবার বড় হজ্বে করেছে। আমার খুব ইচ্ছা ছিলো তাকে সামান্যে সহযোগীতা করা। কিন্তু স্ত্রী রুপী এই জারজ সন্তানের জন্য তাও হয়ে ওঠেনি। আমার আয় রোজগার কম। কিন্তু যথেষ্ট ভালো রেখেছি ওকে। যখন যেটা চায় সেটা হাজির করার চেষ্টা করেছি। যাই হোক আমার মার যেদিন হজ্বের ফ্লাইট সেদিন আমি ওকে বললাম ১০ হাজার টাকা দাও , আম্মাকে দিয়ে দেই । আমাদের  অনেক ছওয়াব হবে। আমার কথা শোনামাত্র শুরু হয়ে গেলো কেয়ামত। তখন রাত ১১ টা বাজে। তখন যে আমার ঘরে টাকা নাই তাও নয়। তখন ২ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা আমার ঘরে যা কিনা আমার সম্বল। এটা ছাড়া আমার আর কোন টাকা পয়সা নাই। তারপরেও মাকে হজ্বে যাওয়ার সময় ১০ হাজার টাকা দিলে টাকা কমে যেতো না হয়তো , খোদার রহমতে আর বাড়তো। চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী তেমন অবস্থা আমার স্ত্রীর । আমাকে তুই তামারি করে এতো বিশ্রি ভাষায় গালিগালাজ শুরু করলো যা ভাষায় প্রকাশ করার না। আমাকে আমার মায়ের শোয়াতে চায়। বলে তুই তোর মার সাথে থাকবি আর আমার কাছে আসবি না। এসব আচরনের কারনেই আমি আমার স্ত্রীকে জারজ বলি।







আমার মেয়েটার বয়স ৫ বছর । এমন কোন দিন নাই যে মেয়েটা মার না খেলে, গালিগালাজ না শুনে স্কুলে যায়। মেয়ের স্কুল সকাল সাড়ে ১০ টায়। তাহলে তাকে সকাল ৮ টায় ঘুম থেকে উঠিয়ে রেডি করালে হয়। আমার মেয়ে অন্য বাচ্চাদের তুলনায় অনেক স্লো, তাহলে তাকে একটু আগে ঘুম থেকে উঠালে হয়। কিন্তু না প্রতিদিন সকাল ৯ টায় ওকে ঘুম থেকে উঠাবে। চুল বাধতে গিয়ে চুল ধরে জোরে জোরে টানবে মেয়ে যখন বলে মা ব্যাথা পাচ্ছি আস্তে বাধো। তখন মায়ের ভাষা তুই মরে যা, তোকে পেটে ধরে আমার জীবন শেষে হয়ে গেছে। প্রতিদিন তোকে বলতে হয়  তাড়াতাড়ি কর স্কুলের সময় হয়ে গেছে। তুই একটা বেজাত, জাইরো ইত্যাদি বলবে আর চর থাপ্পর ঘুুষি কিল মারতে থাকবে। এটা প্রতিদিন সকালের ঘটনা। এমন কোন দিন নাই যে এমনটি ঘটবে না।
এসব কারনে আমি ওকে জারজ বলি।

Monday, October 9, 2023

09. 10.2023

 জীনবটা অতিষ্ট হয়ে গেছে বাচতে ইচ্ছা করেনা। এটা অভাবের জন্য নয়, কষ্ট করে জীবন চালাতে হয় তার জন্যও নয়। স্ত্রীর অত্যাচারে। 

আমি সকালে অফিসে আসাছি বাসায় যায়নি। জরুরী মিটিংয়ে বসের সাথে। গুলশানের মিটিং শেষ করে উত্তরাতে ফেরার পথে বসের সাথে গাড়িতে থাকাকালীন কয়েক বার ফোন দিয়েছে জান্নাত। ওকে জান্নাত বলতে এখন আমার ঘৃনা লাগে। কারন ও কোন মানুষের জীবনে একবিন্দু সুখ শান্তি দিতে পারবে বলে আমার মনে হয়না। সেটা আমি  এই সাত বছরে । 

যাই হোক আমি ফোন রিসিভ করিনি। অফিসের সামনে আমি গাড়ি থেকে নেমেই েজান্নাতকে ফোন দিয়েছি। ফোন রিসিভ করেই শুরু করে দিলো আজে বাজে কথা। সেই পুরানো প্যাচাল - ফেসবুক প্রোফাইল লক করোনি কেন ??

ওমুক তোমার ফেসবুকে লাইক দেয় কেন ??

অথচ কবে কোন সা২০১১ সালে আমার ফেসবুকে কে লাইক দিয়েছে তার জবাব এখন আমার দিতে হবে। যদি এমন হতো যে সেই মানুষটার সাথে আমার সম্পর্ক  আছে কথাবার্তা হয় তাহলেতো জিজ্ঞাসা করা যেতো কেন লাইক দিয়েছে। কিন্তু তাও নাই তাহলে আমার কি করার আছে। 

এর কি উত্তর হতে পারে। 

তুমি কি আমাকে শান্তিতে থাকতে দিবা না ?

তুমি তলে তলে কি করে বেড়াচ্ছো তা তুমিই জানো নানা কথা। সারাদিন অফিসের কাজ করতে করতে মন মানসিকতা কতোটা খারাপ পর্যাযে তা একমাত্র আল্লাই ভালো জানেন। তারউপর এসব ফালতু প্যাচাল --

ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আমকে যা নাতাই বলে গালিগালাজ করলো। 

অথচ আমি ওর ফেসবুক ব্যবহার করা বন্ধ করে দিয়েছি কারন ও ৮/১০ জনের সাথে পরকিয়া করতো এজন্য । 

এখন আমার আইডি জান্নাত নিজেই ব্যবহার করে। ওর ফোনে পাসওয়ার্ড দিয়ে সেট করে দিয়েছি। যাতে জানোয়ার মানুষের রুপে ফিরে আসতে পারে। কিন্তু মানুষ হলে তো বুঝতো। এতো পুরোই অমানুষ। ওর পরিবার এতোটাই জগন্য যে মানুষের সাথে ভালো ব্যবহারতো দুরের কথা। আপন মানুষদের সাথে কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। তাই শেখায়নি। একচুল সহানুভূতি ওর ভিতর নাই। এ দেখতে মানুষর মতো হলেও ....................... ও পৃথীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রানী।

Wrong Train

 গতকাল ২৭.০৯.২০২৩ 

আমি সকালের কাজ কর্ম সেরে অফিস থেকে বাসায় গেলাম। ভাই তখন ঢাকার বাইরে। ঢাকার বাইরে যাবার আগে আমাকে দিয়ে নার্সারীতে ৭ পিচ গাছের অর্ডার করেছিলেন। যেভাবে ভাই বলেছিলেন সেভাবে আমিও অর্ডার করে দিয়েছিলাম। গতকাল বিকাল ৪টার সময় নার্সারী থেকে সেই ৭ পিচ গাছের মূল্যের একটি লিষ্ট পাঠায়। আমি দেখা মাত্রই সেটা ভাইয়ের হোয়াটস এ্যাপে ফরোয়ার্ড করি। আধ ঘন্টাপর ভাই ফোর করে বললেন যে, আমি তো ১০ টি গাছের মূল্য ২৫৪০০ থেকে ১২০০০ টাকা বিকাশে পেইড করেছি। আর পাবে ১৩৪০০ টাকা কন্ডিশনে দিবো। এটা কি পাঠিয়েছো তুমি ৭ টা গাছ কেন? তুমি এখনি ওকে ফোন দাও। বলো এগুলো কি ?

আমি ফোন করছি তুমি নার্সারীওয়ালা রিসিভ করছে না, হতে পারে সি বিজি আছে। ২মিনিট যেতে না যেতেই ভাই আবার ফোন কথা বলেছো। আমি বললাম ভাই আমি ফোন দিচ্ছি কিন্তু উনি ফোন ধরছে না। আবার ট্রাই করছি। শুরু হয়ে গেলো গালিগালাজ। 

পরে কয়েকবার ফোন করার পর নার্সারীওলার সাথে কথা হলো তিনি বললেন। ভূল করে ওটা আপনার কাছে চলে গেছে। 

আমার ভুল আমি জানতাম না যে, টাকা দেয়া হয়েছে। গাছের ওর্ডারও করা হয়ে গেছে। কারন ভাই ঢাকার বাইরে । ভাই নিজেই গাছের অর্ডার করেছেন। তাই ওর ভূল করে পাঠানো লিষ্টটা ভাইকে পাঠিয়েছিলাম।

নালিশ ছাড়া আর কোন মুরদ আছে ??

 প্রতিদিনের একটা ঘটনা। সকালে মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার আগে একবার মায়ের হাতে মাইর খেতে ও গালি গালাজ শুনতে হবে। আর একবার সন্ধ্যার সময় পড়তে বসল...