গত ২১.১০.২০২১ তারিখ বৃহস্পতিবার জান্নাতকে টিকা দিতে নিয়ে যাই মিরপুর। টিকা দেয়া শেষ করে গিয়াস উদ্দিন ভাইয়ের টালিকো রেষ্টুরেন্টে লাঞ্চ করি। উত্তরায় ফিরতে ফিরতে ৪ টা বেজে যায়। উত্তরায় ফিরে একটু সময় অফিসে রেষ্ট নিযে এপেক্স থেকে ১৭৯০ টাকা দিয়ে জান্নাতকে একটি জুতা কিনে দেই। জুতাটি জান্নাত নিজে পছন্দ করে কিনেছে।
শুক্রবার ২২.১০.২১ সারাদিন বাসায় ছিলাম। সন্ধ্যায় বের হয়েছিলাম জান্নাতের জন্য ওষূধ কেনার জন্য।সাথে দুটো জামা নিয়ে বের হই । জামাদুটো চাপাতে হবে। এমন সময় মিলন ভাই ফোন করে। মিলন ভাই জরুরী তলব করে আমাকে। সাথে কপি ছবি নিতে বলে । তাই অফিসে গিয়ে এক কপি ছবি নিয়ে মিলন ভাইয়ের সাথে দেখা করি। মিলন ভাই একটা ফর্ম দেয় সেটা পুরন করে ছবিটা এটাচ করে দিই। ফর্মটি ছিলো উত্তরা ১নং আওযামীলীগের সদস্য ফর্ম। বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত সাড়ে নয়টা বেজে যায়। রাতটা খুব ভালোভাবেই কাটে। রাতে জান্নাত খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। আমি অনেকক্ষন জেগে ছিলাম ঘুম আসছিলো না।
সকালে ঘুম ভাঙ্গে জান্নাতের মোবাইলে নাটক দেখার শব্দে। তখনও চোখে ঘুম। জান্নাত বললো -এই খানে দরজাল প্রথম দুনিয়ায় এসে কি করবে ? কি বলবে জানো ?
আমি শুয়ে শুয়ে চোখ বন্ধ অবস্থায় বললাম- হমমম উনি প্রথম এসে তোমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলবে, তারপর বলবে একটা মজার নাটক চালাও দেখি। তোমার সাথে বসে নাটক দেখবে।
জান্নাত -আমার কথার কোন উত্তর দিলো না। মনে হয় নাটক দেখায় মনোযোগ দিয়েছে।
কিছুক্ষনপর অনুভব করলাম জান্নাত আমার গায়ের উপর শুয়ে পড়েছে। তখন বাজে সকাল নয়টা। জান্নাত বললো আমি রাতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম এখন আমাকে কিছু দিতে হবে। জান্নাতের কথা শুনে আমি ঘড়ির দিকে তাকালাম। দেখি নয়টা ১০ বাজে। আমি বললাম ছাড়ো অফিসে যাবার সময় হয়ে গেছে। আর পাশে মেয়ে শুয়ে আছে ওর ঘুম ভাঙ্গার সময় হয়ে গেছে।
জান্নাত- ও আমি একটু কাছে এলাম আর অফিসে যাওয়ার সময় হয়ে গেলো।
আমি বললাম এটা তুমি আমাকে জিজ্ঞাসা ন করে ঘড়ির দিকে তাকাও।
রাগান্বিত কন্ঠে চিৎকারের সাথে জান্নাতের কথা গুলো ছিলো এমন - তোমার কোন অনুভূতি নাই, তুমি হিজড়া হয়ে গেছো , তুমি অপারগ পুরুষ। আমাকে এক বিন্দু সুখ দিতে পারোনা।
আমি বললাম সকাল বেলা তুমি কি শুরু করলা। এটা কোন কথা।
জান্নাত বললো যাও তুমি , তোমার সাথে কথা বলতেও আমার ঘৃনা হচেছ। আরো অনেক কথা যা প্রকাশ করা বা লেখা সম্ভব না।
জান্নাতের কথাগুলো শুনে আমার এতো পরিমান রাগ হচ্ছিলো যে, খুব তাড়াতাড়ি আমি ঘর থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু জান্নাতের মুখ থাকছে না। একপর্যায়ে আর সহ্য করতে না পেরে আমি জান্নাতকে দু চারটে চড় থাপ্পর মেরে না খেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আসি।