০৫.১০.২১
কিযে করি ভেবে পাই না।
জান্নাতের আচরণ স্বভাব বদলালো না। একমাসও কাটেনি সেই দুর্ঘটনার ।
প্রতিদিন ফোন করে কখন বাসায় আসবা ? আজকেও দেরি হবে ? এই দুটি প্রশ্ন প্রতিদিন একশ বার করে শুনতে হয়। আর কতো সহ্য করবো ?
আব্বার অবস্থা খুব খারাপ, ডাক্তার বলেছে আর আশা নাই। বাড়িতে নিয়ে যান। তারপরও ভাইয়া বললো যতক্ষন থাকে হাসপাতালেই থাকুক। আব্বার রক্ত বমি হচ্ছে। প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে নতুন নতুন দুঃসংবাদ আসছে। মনের অবস্থা খুবই খারাপ।
আমার অফিসেও প্রচন্ড চাপ। টেনশন আর ভারাক্রান্ত মনে কোন রকম কাজ করছি। ভূল হলেও বকা শুনছি না হলেও বকা শুনছি। মাঝে মাঝ মনে হচ্ছে বাথরুমে গিয়ে একটু কেদে আসি।
কোন কষ্টই কষ্ট হতো না , যদি ঘর ঠিক থাকতো। কিন্তু আমার এতোটাই খারাপ কপাল যে, ঘরের যন্ত্রনাই আমাকে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে।
বাইরের সকল ঝুট ঝামেলা সামলে মনটাকে শক্ত করে যখন বাসায় ফিরি তখন শান্তির ঘুম ঘুমানোর আশায় যখন বিছানায় যাবার মতো সৌভাগ্য আমার হয় না। সারাদিন খেয়ে না খেয়ে যার জন্য জীবন শেষ করছি। বাসায় গিয়ে তার পোড়া মুখ দেখতে হয়। কোন কারন ছাড়াই নানান কথা । বালিশে মাথা রেখে সুখের নিদ্রা তো দুরের কথা কষ্টে বুকটা ফেটে যায়। দুচোখর পাতাই বন্ধ হয়না। কখনো কখনো বুক ফেটে কান্না আসে।
যদি এমন হতো যে, বছরে দু একবার এমন ঘটনা তাহলে হয়তো মনকে শান্তনা দেয়া যেতো কিন্তু আল্লাহর দিন কোনটা বাদ নাই। যদিও দু,একদিন ভালো থাকে তারপর শুরু হয় আরো ভয়ানক পরিস্তিতি। চারটে বছরে ৬ মাসও ভালো কাটেনি। মেয়েটার উপরও যেভাবে অত্যাচার করে তা বলার না। দুধের বাচ্চাকে যা না তাই বলে গালি দিতে থাকে।
মেয়েটার ভবিষ্যত চিন্তা করলে শরীরটা ঠান্ডা হয়ে যায়, ভিজে যায় দুচোখের পাপড়ি।
No comments:
Post a Comment