ধারাবাহিক - ৩
১৪.১০.১৯
একের পর এক ফোন দিয়েই যাচ্ছে আর আমি কেটে দিচ্ছি। তারপরও বুঝতে চাচ্ছে না যে, আমি অফিসের কাজে খুব ব্যস্ত েএবং আমার সাথে কলিগরা আছে। একদুজন না অনেক মানুষ কথা বলা যাবে না। এমনিকি কাজ রেখে একটু দুরেও সবে যাওয়া যাবে না। অফিসের বড় বড় কর্তারা সবাই সামনে।
১৫.১০.১৯ তারিখ সকালে প্রতিনিদের ন্যায় ফোনে কথা হয়েছে। দুপুরে খাবার সময় আবার জান্নাত ফোন করলো । একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে খেতে খেতে কথা বললাম। সাথে কলিগরাও ছিলো। খাওয়া শেষ হতে না হতেই আবার ফোন।
আমি বললাম কি হয়েছে বলো ?
জান্নাত -আমার সাথে একটু ভালো মন্দ কথা বলো।১৫ থেকে ২০ মিনিট নানন বিষয়ে কথা বললাম । তবু ওর মন ভরলো না।
আমি বললাম এখন রাখো কাজ আছে।
হবে না আরো কথা বলতে হবে। মানুষ এতোটা অবুঝ হলে কিভাবে হবে। কষ্টে বুকটা ফেটে যেতে লাগলো। যেখানে জান্নাত নিজেই বলবে যে, যাও এখন অফিসের কাজ করো তানা হলে চাকরি থাকবে না।
সেখানে আমি বারবার এই কথা বোঝেতে বোঝাতে হাফিয়ে উঠেছি। তবু উনার মগজে এই একটি কথা ঢুকছে না যে আমি পরের চাকরি করি।
অফিসের একটা ঝমেলার জন্য আমরা ৬ জন রাতে অফিসেই থাকলাম। ঘটনার অদ্যপান্ত সব জান্নাতকে খুলে বললাম তারপরও রাতে বারবার ফোনদিতে লাগলো। কথা বলে রেখে দেয়ার ২ মিনিট যেতে না যেতেই আবার ফোন করছে।আমি বুঝাতে চেষ্টা করলাম যে, আমি বাসার বাইরে অফিসের কলিগদের সাথে। কোনো বুঝে কাজ হচ্ছে না । তখন রাত দেড়টা বাজে। তারপর ফোন কেটে দিয়ে আমাকে যে, এসএমএস গুলো দিলো সেগুলো হুবহু তুলে ধরছি- “যারা নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে তারা কখনো অন্যের মন বোঝেনা। আমার কাছে টাকা নাই যদি পারো দুই , আড়াই হাজার টাকা পাঠিয়ে দিও”।
এসএমএস-২ তুমিতো আমাকে ফোনই দাওনা। যদি আমি ফোন দেই তবে করুনা করে তুমি একটু কল ব্যক করো।যাই হোক আজকের পর থেকে আর তোমাকে কল দিবো না।
আমি জান্নাতের এসএমএস এর কোন উত্তর দিলাম না । কারন ওর ভালো থাকার মেয়াদ শেষ এখন আমি যা বলবো তার উল্টো বলে অশান্তি করবে। যেমটি আগে করে এসেছে।
No comments:
Post a Comment