Tuesday, December 15, 2020

 ১৮ নভেম্বর ২০২০ খুলনায় গেলাম। ভেবেছিলাম জান্নাতকে আর ঢাকায় আনবো না। ওর বাপের বাড়ি রেখে আসবো্ কিন্তু ওর নানী , মা এবং বাপের কথায় আবার নিয়ে আসলাম। তারা প্রমিজ করলো তাদের মেয়ে আর এমন বেয়াদবি করবে না।তাদের মানসম্মান রাখতে আমি পুনরায় জান্নাতকে ঢাকায় নিয়ে আসলাম। কিন্তু  একটি প্রবাদ আছে ককুরের লেজ কখনো সোজা হয় না। 

ঢাকায় আসার পর বেশ কিছুদিন ভালো ছিলো ।খুলনা থেকে জান্নাতের বাপ নানীর সামনে কথা দিয়েছিলো ফেসবুক আর ব্যবহার করবে না। কিন্তু ঢাকায় এসে সে কথা রাখেনি। আমি এই বিষয় আর কিছুই বলিনি। কি আর বলবো যে মেয়ে তার নিজের পরিবারের , জন্মদাতা বাপের মান রাখতে পারে না তাকে বেশি কিছু বলে হবে।

যাইহোক এভাবে দিন কাটছে। ১২ ডিসেম্বর জান্নাত তার পূর্বের রুপে ফিরে গেলো।সেদিন আমার শরীরটা বেশি ভালো না, প্রচুর ঠান্ডা, এক সপ্তাহ যাতৎ সূর্য  দেখা যায় না।সেদির জান্নাত দাবি করলো তাকে একটু আদর করতে হবে। আমি বললাম আজকে একটু কষ্ট করো কালকে তোমার সব আশা পূর্ন  করবো। হঠাৎ আমাকে বলছে , আমি শুধু আমার মেয়েটার জন্য এখানে আছি। তুমি আমার ক্ষমা পাওযার যোগ্য না। ইত্যাদি ইত্যাদি যানা তাই বলতে লাগলো। আর একটি কথা না বললেই নয় যে, আমি জান্নাতকে বেশি কিছু বলল তার ফল নেমে আসে আমার নিস্পাপ শিশুটির উপর। তাই অনেক কিছু মুখ বুজে সহ্য করার পরেরও ওর মন ভরে না। 

আমি তো আকাশ থেকে পড়লাম যারে বাবা, আমি আবার কি অন্যায় করলাম। যা কিছু করার সব জান্নাত নিজে করলো পরের কথায় আমাকে সন্দেহ করে ঘরের মান সম্মান রাস্তায় বিলিয়ে দিলো। ঘরের মূল্যবানি জিনিসপত্র ভেঙ্গেচুরে নষ্ট করলো। খুলনা থেকে ওর বাপ মা নানী আমাকে বুঝিয়ে সুজিয়ে ওকে ঢাকায় পাঠালো যে তাদের মেয়ে আর অশান্তি করবে না।তার  এই রুপ।

প্রতিটি দিন একটি না একটি বিষয় নিয়ে অশান্তি করবেই। রাতে বাসায় ফিরে যদি কম্পিউটার নিয়ে বসে নাটক দেখি তাতেও সমস্যা। যদি খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে পড়ি তাতেও সমস্যা।আমার আর বাসায় ফিরতে ইচ্ছা করেনা। কিন্তু মেয়েটার মুখের দিকে তাকালে কলিজাটা ফেটে যায়। আমার দেখা সবচেয়ে হাসিখুশি শিশু হলো আমার মেয়ে। ক্ষুধা না লাগলে একটুও বিরক্ত করবে না্। ওর হাসি দেখলে আমি আত্মহারা হয়ে যাই। আর সেই মেয়ে দুধ খেতে চাইলেও বকা শুনে মার খায় (বয়স দেড় বছর) । 

Tuesday, November 3, 2020

2 nov.2020

 2 nov.2020


২৮ অক্টোবেরের পর থেকে আমি আর জান্নাতের সাথে কোন কথাই বলি নাই। সকালে না খেয়ে বাসা থেকে  না খেয়ে বের হয়ে আসি। দুপুরেও খেতে যাইনা। রাতে রাসায় গিয়ে রান্না করে খাই, আমি বাসায় গেলেই অনজুমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। আনজুমাকে আদর করতে করতে ভাত হয়ে যায়। 

জান্নাত কোন কারন ছাড়াই অনজুমাকে যাতা বলে বকা বকি করে। যেমন গলাটিপে মেরে ফেরবো, জবাই করে দিবো, ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি কোন কথার উত্তর দেই না।জান্নাত যা খুশি তাই বলে যাচ্ছে। উত্তর দিতে গেলেই তো কথা বাড়বে তাই চুপ করে থাকি। রাগ হলেও কিছু বলিনা।

অনজুমার দিকে তাকালে খুব কষ্ট লাগে। 

কিন্তু কি বলবো, মানুষ হলেতো কথা শুনতো , বুঝতো। 

অনজুমা মেয়েটা অনেক শুকিয়ে গেছে। ঠিক মতো খেতে পায় না। খাবারের অভাব নাই। ঘরে মিষ্টি, সন্দেশ, বিভিন্ন ফল, বিস্কুট, কেক থাকে। কিন্তু খাওয়াবে কে ? একবার দুবার চেষ্টা করে খাওয়ানোর জন্য না খেলে আর চেষ্টা নাই। ক্ষুধায় কান্না করলেই শুরু হয় শুরু হয় মারধর এবং গালিগালাজ। দেড় বছরের বাচ্চা কিছুই বলতে পারে না।

মেযের মা সারাদিন ফেসবুক আর ঘুম। ঘন্টায় ঘন্টায় মেয়েকে ঘুম পড়ানো জন্য যাতা বলা হয়। ঘুম থেকে উঠেছে ঘন্টা পার হয়নি । আবার মেয়েকে বকাবকি শুরু ঘুমা না হলে, বেলকনি থেকে ফেলে দিবো, জবাই করে ফেলবো, গলাটিপে মেরে ফেলবো ইত্যাদি।

গত ২ অক্টোবর রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে জান্নাত হঠাৎ গালিগালাজ শুরু করে দিলো। যেমন তুই কোনদিন সুখি হতে  পারবি না, আমারে নির্যাতন করতেছিস,আরো কতো কি যা বলার ভাষা নাই।আমি কোন কথার উত্তর দিলাম না। ঘন্টখানেক চুপ থেকে যখন দেখলাম আর সহ্য হচ্ছে না তখন বিছানা ছেড়ে উঠে, জামা প্যান্ট পরে যখন বেরিয়ে যেতে চাইলাম তখন  জান্নাত উঠে এসে আমাকে থামাতে চেষ্টা করলো। এবং বললো, মেয়ের জন্য হলেও যেওনা ঘরে থাকো। তবুও আমি কোন কথার উত্তর দিলাম না। আবার ড্রেস পরিবর্তন করে শুযে পড়লাম।

Friday, October 30, 2020

Friday, November 30

Today is Friday, November 30

Everyone's office is closed on Friday, but the opposite is true for me. I have no Fri-Sat, or official off. You have to run whenever the phone rings.

The salary is not so much. Somehow it has to go on. Like every Friday, I woke up a little today. The reason for waking up on Friday afternoon. Does not want to go to the office. But what to do. Such is the irony of fate.

I have not spoken to Jannat since the 26th. I ate rice with water at night and went to bed. I caressed Anjuma coming to my chest with Hapur. Rolling down again. As soon as Anjuma goes to Jannat, Jannat is eating. When he gets up in his lap, he sometimes pushes it away. Anjuma is screaming and crying. I am holding Anjuma's cries with my lap. I am very angry with the baby girl who is using such things for no reason. Even then I am lying quietly.

In the meantime,
a call came from the office. I got dressed and left. After 10 minutes, Jannat started calling. I didn't pick up the phone. He started abusing me through messages. I did not answer.

I called my father-in-law and told him everything and told him to take your daughter. I can't stand it anymore.

..........................................................................................................................................

৩০ নভেম্বর শুক্রবার

শুক্রবার সবার অফিস বন্ধ থাকলেও আমার বেলায় উল্টো। আমার কোন শুক্র-শনি, বা সরকারী বন্ধ নাই। যখনই ফোন আসে তখনই দৌড়াতে হয়।

বেতনটাও তেমন নয়। কোনরকম চলতে হয়। প্রতিশুক্রবারের মতো আজও একটু বেলা করে উঠলাম। শুক্রবারে বেলা করে ঘুম থেকে ওঠার কারন হলো। অফিসে যেতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু কি করার । ভাগ্যের এমনই পরিহাস। 

২৮ তারিখের পর থেকে আমি আর জান্নাতের সাথে কোন কথা বলিনি। রাতের পানি দেয়া ভাত খেয়ে আমি শুয়ে রইলাম। আনজুমা হাপুর দিয়ে দিয়ে আমার বুকে আসছে আমি আদর করিছি। আবার গড়িয়ে নেমে যাচ্ছে। আনজুমা জান্নাতের কাছে গেলেই জান্নাত খেই খেই করে উঠছে। কোলে উঠতে গেলে মাঝে মাঝে ধাক্কা রেমে ফেলে দিচ্ছে। আনজুমা চিৎকার করে কেদে উঠছে আমি তখন  কোলে নিয়ে আনজুমার কান্না থামাচ্ছি।শিশু মেয়ের সাথে বিনা কারনে এমন যাতা ব্যবহার করছে আমার খুব রাগ হচ্ছে। তারপরও চুপচাপ করে শুয়ে আছি। 

এরই মধ্যে অফিস থেকে ফোন এলো। জামা কাপড় পড়ে রওনা দিলাম।১০ মিনিট পড়ে জান্নাত ফোন দিতে শুরু করলো। আমি ফোন ধরলাম না। মেসেজের মাধ্যমে আমাকে যাতা গালিগালাজ করতে লাগলো। আমি কোন উত্তর দিলাম না। 

আমার শ্বশুরকে ফোন করে সবকথা খুলে বললাম এবং বললাম আপনার মেয়েকে আপনি নিয়ে যান। আমি আর সহ্য করতে পারছি না।

November 28, 2020.




November 28, 2020.

I finished my lunch and rested at home till 4:30 pm and came to the office. At about 10 o'clock at night, Jannat called from an unknown number. I'm very sick, come home soon. But I didn't think he was sick. Paradise often speaks like that so don't believe it.


I never dreamed of what I saw when I came home. Inside the room with the door open, everything is scattered on the broken floor, including all the glassware, just like when other things are stolen randomly, the only difference is broken things. Thieves do not break things.


I entered the house and did not find anyone by shouting. I also found Jannat's phone off. Later I called that unknown number. A woman from the other end said, your wife is gone.


When I went and knocked on the door, I opened the door and saw Jannat standing there. The woman opened the door and said to me, why did you talk to her? I was amazed when you said that. And the biggest thing is that I am you with my wife, you have to learn what you said from the woman in flat 9. But 2 minutes ago this woman said your wife is gone.


I told Jannat to go home. Where is Anjuma? Bring him. The two of us went home. I told Jannat


- What have you done?


What happened?


Who listens to whom. I started using awkward language while standing at the foot of the stairs outside the house.


Without any reason, my values ​​were reduced to dust.


I found out later that


15/16 years ago today, I had a relationship with a girl named Ranu, Chandpur, Comilla district, on my mobile number. Later in a month in 2009 I went to see Ranu with my elder sister-in-law. This is the only time I have met Ranu in my life.


There was talk of paradise with that Ranu. The result is this unrest. Fire in the world of peace. What am I doing for? For whom I have been shedding my blood day after day..

.................................................................................................................................

 ২৮ নভেম্বর ২০২০। 

আমি দুপুরের লাঞ্চ শেষ করে বাসায় সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিশ্রাম নিয়ে অফিসে আসলাম। রাত আনুমানিক ১০ টার সময় জান্নাত একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে কল করে বলল। আমি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছি, জলদি বাসায় আসো।কিন্তু কথা শুনে মনে হলো না ও অসুস্থ। জান্নাত প্রায়ই এমন কথা বলে তাই বিশ্বাস হলো না। 

বাসায় এসে যা দেখলাম তা কোনদিন স্বপ্নেও ভাবিনি। দরজা খোলা ঘরের ভিতর সব কাচের জিনিসপত্রসহ সব কিছু ভাঙ্গা মেঝেতে ছড়ানো, অন্যান্য জিনিসপত্র এলোমেলো বাসা চুরি হলে যেমন থাকে, তেমন , পার্থক্য শুধু ভাঙ্গা জিনিসপত্র। চোর জিনিসপত্র ভাঙ্গেনা।

ঘরে ঢুকে ডাকাডাকি করে কাউকে পেলাম না।জান্নাতের ফোনটাও বন্ধ পেলাম। পরে সেই অপরিচিত নাম্বারে ফোন করলাম। অপরপ্রান্ত থেকে এক নারী বললো, আপনার স্ত্রী চলে গেছে।

আমি গিয়ে সেই বাসায় নক করলে দরজা খুলা মাত্র দেখলাম জান্নাত দাড়িয়ে আছে।ঐ মহিলা দরজা খুলেই আমাকে বললো, আপনি উনার সাথে তুই করে কথা বললেন কেন? আমি অবাক হয়ে গেলাম কখন তুই করে বললাম।আর সবথেকে বড়ো কথা হলো আমার স্ত্রীর সাথে আমি তুমি, তুই কি বললো তা ৯নং ফ্লাটের মহিলার কাছে শিখতে হবে। অথচ ২ মিনিট আগে এই মহিলাই বলেছে আপনার স্ত্রী চলে গেছে। 

আমি জান্নাতকে বললাম বাসায় চলো। আনজুমা কোথায়? ওকে নিয়ে আসো।আমরা দুজন বাসায় ‍গেলাম। জান্নাতকে বললাম

- এসব কি করেছো তুমি ?

কি হয়েছে ?

কে কার কথা শুনে। ঘরের বাইরে সিড়ির গোড়া্য় দাড়িয়ে বিশ্রি বিশ্রি ভাষা ব্যবহার করতে লাগলো।আমি অফিসের নাম করে মেয়েদের সাথে কুকর্ম করে বেড়াই ইত্যাদি।

কোন কারন ছাড়াই আমার মান সম্মন ধুলোয় মিশিয়ে ফেললো। 

পরে জানতে পারলাম যে,

আজ থেকে ১৫/১৭ বছর আগে কুমিল্লা জেলার চাঁদপুর, রানু একটি মেয়ের সাথে মোবাইলে রং নাম্বারে আমার সম্পর্ক হয়। পরে ২০০৯ সালের কোন একমাসে আমার বড় ভাবীকে নিয়ে রানুকে দেখতে যাই। রানুর সাথে আমার জীবনে এই একবারই দেখা হয়।

সেই রানুর সাথে নাকি জান্নাতের কথা হয়েছে। তার ফল এই অশান্তি। শান্তির সংসারে আগুন। কার জন্য আমি কি করছি? কার জন্য নিজের রক্ত পানি করে চলেছি দিনের পর দিন।

Tuesday, October 13, 2020

Unnecessary unrest

Unnecessary unrest

...................................................




Last 13/10/2020. Father is staying at his brother's house in Dhaka for treatment. Where Abba Amma is having trouble staying for various reasons. There is no pain to stay and eat, the pain is just mental torture. All over the country the mother-in-law suffers from such pain by the son's wife.

I'm back home from the office at noon talking on the phone with my parents, siblings. I talk and look at paradise from time to time. Jannat frowned and uttered an expression of extreme annoyance on his face. And is abusing Anjuma for no reason. Jannat said while talking to Husna. You can't recover from these things in the office. I did not answer.

I finished talking and sat down to eat. Jannat suddenly said that my parents are very simple. They are children to your parents. I said speak well. Don't talk like the devil.

There was no more talk that day. Office after lunch. Return home at night from the office

I told Jannat to eat quickly, you are very hungry. Jannat Lakshi gave to the field as fast as a girl. There is rice, there is no curry. There is a little bit of vegetable frying. The frying of vegetables was over but the rice remained. Anyway, I told Jannat to give me a raw chilli. I ate rice with raw chilli and went to bed with a little rest. Jannat wakes me up at 3 o'clock at night and says, I feel very bad, put your hand on my head a little.

I said why do you feel bad, what happened?

Jannat said I don't know.

Anyway, I turned my head a little.

Raw sleep was broken so sleep was not coming. I didn't know when that eye came to light. It was about 9 o'clock in the morning when I woke up. Office meeting at 10:30. Mr. Rafiq Sahib, Chairman of Ahsania Mission will come.

I'm brushing my teeth in a hurry. Jannat said be ready, I gave you the rice.

I washed my hands and started wearing clothes.

Jannat said- don't eat. I said it would be late now at nine o'clock.

Paradise - this is your plan to hurt me. I would not have cooked before. You are burning me to death. I don't like my family anymore. Etc.

I said what are you starting these. You know very well why I'm going around. I told you, what does it mean to do these things?

Paradise all your plans do not want me to live in peace. After that if I ever get up to cook in the morning then I am not a Muslim girl.

I laughed and said are you a Muslim girl?

Jannat replied, "You are not the son of a Muslim."

Without any reason, if he does that in a small matter, whose blood is cold?

The fact is that yesterday I talked to my parents, brothers and sisters. Because of this he is irritated. But why? Why doesn't Jannat want me to have a relationship with my parents, brothers and sisters? What a human character it is. They did not damage the hair of Paradise.

.............................................................................................................................................................

 গত ১৩/১০/২০২০ইং তারিখ। আব্বা ঢাকায় ভাইয়ার বাসায় থাকছে চিকিৎসার জন্য। যেখানে বিভিন্ন কারনে আব্বা আম্মার থাকতে কষ্ট হচ্ছে। থাকা খাওয়ার কোন কষ্ট নাই, কষ্ট শুধু মানষিক অত্যাচার। দেশের সর্বত্র ছেলের বউ দ্বারা শ্বশুর শাশুড়ি যেমন যন্ত্রনায় ভোগ করে।

আমি দুপুরে অফিস থেকে বাসায় ফিরে আব্বা আম্মা , ভাই-বোন, এর সাথে ফোনে কথা বলছি। আমি কথা বলছি আর জান্নাতের দিকে মাঝে মাঝে তাকাচ্ছি। জান্নাত কপাল কুচকিয়ে মুখে চরম একটি বিরক্তির ভাব ফুটিয়ে তুলেছে। আর আনজুমার সাথে কোন কারন ছাড়াই বাজে ব্যবহার করছে। হুসনার সাথে যখন কথা বলছি তখন জান্নাত বলে উঠলো। এসব কথা অফিস থেকে সেরে আসতে পারো না। আমি কোন উত্তর দিলাম না। 

কথা শেষ করে খেতে বসলাম। জান্নাত হঠাত বললো আমার বাবা-মা অনেক সহজ সরল । তোমার বাপ-মার কাছে তারা শিশু। আমি বললাম কথা ভালো ভাবে বলবা। শয়তানের মতো কথা বলবা না। 

সেদিন আর কোন কথা নাই । লাঞ্চ শেষ করে অফিস। অফিস থেকে রাতে বাসায় ফেরা্

জান্নাতকে বললাম দ্রুত খেতে দাও খুব ক্ষিদে পেয়েছ। জান্নাত লক্ষি মেয়ের মতো দ্রুত ক্ষেতে দিলো। ভাত আছে তরকারি নাই । সামান্য একটু শাক ভাজি আছে। শাক ভাজি শেষ কিন্তু ভাত ধরাই রয়ে গেলো। যাই হোক জান্নাতকে বললাম একটি কাচা মরিচ দাও।কাচা মরিচ দিয়ে ভাত খেয়ে একটু রেষ্ট নিয়ে শুয়ে পড়লাম। রাত ৩টার দিকে আমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে জন্নাত বলছে, আমার খুব খারাপ লাগছে, একটু মাথায় হাত বুলিয়ে দাও।

আমি বললাম কেন খারাপ লাগছে, কি হয়েছে ?

জান্নাত বলল জানিনা। 

যাই হোক মাথাই সামান্য একটু হাত বুলিয়ে দিলাম। 

কাচা ঘুম ভেঙ্গে গেছে তাই আর ঘুম আসছিলো না। কখন যে চোখ বুজে এসেছে টের পাইনি। সকালে ঘুম ভা্ঙ্গতে ভাঙ্গতে প্রায় ৯টা। সাড়ে ১০টায় অফিসে মিটিং। আহছানিয়া মিশনের চেয়ারম্যান রফিক সাহেব আসবে। 

আমি তড়িঘড়ি করে দাত ব্রাশ করছি। জাান্নাত বললো তুমি রেডি হও আমি ভাত তুলে দিছি।

আমি হাতমুখ ধুয়ে কাপড় পড়তে শুরু করলাম। 

জান্নাত বললো- খেয়ে যাবানা। আমি বললাম দেরি হয়ে যাবে এখনি নয়টা বাজে।  

জান্নাত-এটা তোমার প্লান আমাকে কষ্ট দেয়ার জন্য।আমি কষ্ট করে ভর্তা ভাত রান্না করছি আর এখন তুমি না খেয়ে যাচ্ছ। আগে বললে রান্না করতাম না। আমারে জ্বালায়ে পুড়ায়ে শেষ করে ফেলতিছো। আমার আর সংসার ভালো লাগেনা। ইত্যাদ।

আমি বললাম এগুলো কি শুরু করছো তুমি। কেন, তরিঘরি করে যাচ্ছি তুমি ভালো করেই জানো। তোমাকে বললাম তারপরও এগুলো করার মানে কি ?

জান্নাত সব তোমার প্লান আমাকে শান্তিতে থাকতে দিতে চাও না। এর পর যদি আমি আর কখনো সকালে রান্না করতে উঠি তাহলে আমি মুসলমানের মেয়ে না। 

আমি হাসাতে হাসাতে বললাম তুমি কি মুসলমানের মেয়ে ?

জান্নাত উত্তর দিলো, তুই মুসলমানের ছেলে না।

কোন কারন ছাড়া, সামান্য বিষয়ে যদি এমন করে তাহলে,  কার রক্ত ঠান্ডা থাকে ?

আসল কথা হলো গত কালকে আমি আমার আব্ব-আম্মা , ভাই-বোনের সাথে কথা বলেছি। এই কারনে ওর গায়ে জ্বালা ধরে গেছে। কিন্তু কেন ? কেন জান্নাত চায়  না যে, আমি আমার বাবা মা, ভাই বোনের সাথে সম্পর্ক রাখি। এটা কি কোন মানুষের চরিত্র। তারা তো জান্নাতের চুল পরিমান ক্ষতি করেনি। 


Friday, September 4, 2020

August 4th 20

The taste of life is getting satiated day by day. In this beautiful world, everyone wants to live in a beautiful way. But my wife is ending my dream of living. Doesn't want to hear anything. Bad temper in words, frowning has made my life unbearable.

There is not a day that I can come to the office with a good mind. The more I bow, the more I grow. When I came to the office on August 26, he said, I want to go out a little.

What do you say I'm going to the office? So

You go to the office, I told Eva Apu. Eva Apu will actually go to one Apu's house with her.

I was kind of surprised to say this? I'm not letting anyone come home because of Corona. Seeing how careful you have to be.

Not to mention this Eva. I have heard many notoriety in the name of this Ivar. I even heard that Eva and Jannat used to watch porn movies before marriage. From then on, hearing Ivar's name set me on fire.

In these three years of marriage, I have heard many more things called Ivar. But suddenly for two or four months I don't understand why Eva is so close to me. Whatever the reason, I am burning in the fire of unrest.

However, I stopped going out with Eva after a lot of arguing. After finishing the office all day, he went home with a grin on his face. Unable to call my father-in-law. There is no way to complain but still feel ashamed. I don't know when I will commit suicide. Just thinking about the girl makes the world dark. Water comes out of your eyes automatically. If it wasn't for the girl, maybe I would have done something. But thinking of my daughter, I am burning myself in the fire of this unrest.

And this opportunity may be taking advantage of this inhumanity.

To get rid of the unrest, I spent 600 rupees in the scarcity market and brought it back to Bashundhara City.

Today, Friday, September 4, I am coming to the office because the documents of the car were locked in my room. I have to explain them to the driver before 8 am.

I went out the door like every day. After a day I put the dirt down. Today, Jannat is walking down the stairs with dirt in front of me. I said why are you going. Didn't say anything. Seeing the dog downstairs came up again. I took the pile of dirt in my hand and told Jannat to go home. The girl went to bed alone and said she could be seen from here. I asked him how he could see from the bottom of the stairs. You can't even see the door properly from here.

Jannat leaned against the stairs and said you go, I will go when it's my turn. I said you can be seen from the doors of the flats below. Get up. He said no one has woken up yet. But then at 8:30 in the morning.

In this way, every intention is to argue in words. What I say will do the opposite.

Another thing that works very efficiently is "lying". There are so many lies that cannot be imagined.

Anyway in a hurry I went to see my friend. I'm out of the house. After the Friday prayers. I had to travel about 15 km to meet him. 15 km because this decision was made keeping in mind that no one should get in trouble between the two of me.

Jannat started calling around 4.30 pm and did not stop. I'm sitting in the middle of two people. He didn't care. I received two or three phone calls and said that I would be back in an hour. After hearing that, who started talking nonsense today which is hard to bear for a man made of blood and flesh. Just like there is no need to come home, stay with friends, father and mother, I am going on the street, you can't blame me when I get bad, you become a transgender. Gecho, the wife suddenly said that she did not need a child.

And isn't the throat the throat of a human being, like the rattling sound of a rice threshing machine. Along with the ears, the heart is also torn apart.

This wife makes love come to me again. The softer I became and the quieter I became for peace in the world, the more reckless he became.

If there is a poisonous arrow in my mind, then where does love come from? I never understood this.

I finished my day's work and returned home with a little hope and a dream. Something will happen, the house will be full of caresses. But that never happens. As soon as he entered the house, he used it, and when he saw the expression on his face, he became disgusted. He doesn't want to go home anymore.

Sometimes I decide to go for a walk with her and her daughter. I will not say in advance that I will give a surprise, but that which destroys all nature. For example, I had already planned to go to Bashundhara City. More plans were to tour the parliament building.


........................................................................................................................................................

 



জীবনের স্বাদ তৃক্ত হচ্ছে দিনে দিনে। এই সুন্দর পৃথীবিতে সবাই সুন্দর ভাবে বাচতে চায়।কিন্তু আমার বাচার স্বপ্ন শেষ করে দিচ্ছে আমার ঘরের বউ। কোন কথাই শুনতে চায় না। কথায় কথায় বদমেজাজ, কপাল কুচকানো অতিষ্ট করে তুলেছে আমার জীবনকে।নামটি যত সুন্দর আচার ব্যবহার পুরোটাই উল্টো।

এমন একটি দিন নাই যেদিন আমি অফিসে আসার সময় ভালো মন নিয়ে আসতে পারি। যতটা নত হই ততই যেন বাড়তে থাকে। গত ২৮ আগষ্ট আমি অফিসে আসার সময় বলছে, আমি একটু বাইরে যেতে চাচ্ছি। 

কি বলো তুমি আমি অফিসে যাচ্ছি ? ত

তুমি অফিসে যাও, আমি ইভা আপুকে খবর দিয়েছি । ইভা আপু আসলে ওর সাথে এক আপুর বাসায় যাবো। 

আমি এক প্রকার অবাক হলাম এ বলে কি? করোনার কারনে বাড়িতে কাউকে আসতে দিচ্ছি না। কতটা সতর্ক থাকতে হচ্ছে নিজের চোখে দেখছে। 

এই ইভার কথা না বললেই নয়। এই ইভার নামে অনেক বদনাম শুনেছি। এমনকি এও শুনেছি ইভা আর জান্নাত বিয়ের আগে পর্নমুভি দেখতো। সেই থেকে ইভার নাম শুনলে আমার গায়ে আগুন ধরে যায়। 

বিয়ের এই তিন বছরে ইভার নামে আরো অনেক কিছু শুনেছি। কিন্তু হঠাৎ দু, চার মাস যাবৎ ইভা এতো আপন কেন হলো ঠিক বুঝতে পারছি না।যে কারনেই হোক না কেন অশান্তির আগুনে জ্বলতে হচ্ছে আমাকে। 

যাইহোক অনেক বকাঝকা করে  ইভার সাথে বাইরে যাওয়া থেকে থামিয়েছি । সারাদিন অফিস শেষ করে বাড়িতে গিয়ে সেই গোমরা মুখ নানান প্যাচাল। না পেরে আমার শ্বশুরকে ফোন করে জানালাম। নালিশ করতে নিজেরই লজ্জা লাগে তারপরও উপায় নাই । কবে যে আত্মহত্যা করে বসবো তাই জানিনা।শুধু মেয়েটার কথা ভাবলে পৃথিবী অন্ধকার হয়ে যায়। চোখ দিয়ে আপনা আপনি পানি গড়িয়ে আসে। মেয়েটা না থাকলে হয়তো কিছু একটা করতাম। কিন্তু মেয়ের কথা চিন্তা করে নিজেকে ্এই অশান্তির আগুনে পুড়াচ্ছি।

আর এই সুযোগটাই হয়তো এই অমানুষটা কাজে লাগাচ্ছে।

অশান্তির হাত থেকে রেহাই পাবার জন্য অভাবের বাজারে ৬০০ টাকা খরচ করে বসুন্ধরা সিটিতে ঘুরিয়ে নিয়ে এলাম। 

আজ ৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে আমি অফিসে আসছি কারন গাড়ির কাগজপত্র আমর রুমে তালাবদ্ধ ছিলো সকাল ৮টার আগে সেগুলো ড্রাইভারকে বুঝিয়ে দিতে হবে। 

প্রতিদিনের ন্যায় দরজা থেকে বের হলাম। একদিন পর পর আমি ময়লা নিচে নামিয়ে রাখি। আজ জান্নাত আমার সামনে দিয়ে নিজেই ময়লা নিয়ে হনহন করে হেটে সিড়ি দিয়ে নিচে নামছে। আমি বললাম তুমি যাচ্ছ কেন। কোন কথা বলল না। নিচে কুকুর দেখে আবার উপরে উঠে এলো। আমি ময়লার পলিটা হাতে নিয়ে জান্নাতকে বললাম ঘরে যাও , মেয়েটা একা খাটে ও বলল এখান থেকে দেখা যাচ্ছে । আমি বললাম এক সিড়ি নিচে থেকে কিভাবে দেখা যায়। তুমি তো এখান থেকে দরজাও ঠিকমতো দেখতে পাওনা। 

জান্নাত সিড়ির সাথে গা এলিয়ে দিয়ে বলল তুমি যাও আমার সময় হলে আমি যাবো। আমি বললাম নিচের ফ্লাটগুলোর দরজা থেকে তোমাকে দেখা যায়। উপরে উঠো। ও বলল এখনো কেউ ঘুম থেকে ওঠেনি।অথচ তখন সকাল সাড়ে ৭ টা বাজে।

এভাবেই প্রতি নিয়ত কথায় কথায় তর্ক করতে থাকে । যা বলবো তার উল্টোটা করবে।

আরেকটি কাজ খুব দক্ষতার সাথে করে তা হলো ”মিথ্যা”। এতো পরিমান মিথ্যা কথা বলতে পারে যা কল্পনা করা যাবে না।

যাইহোক খুব তাড়াহুড়ো করে আমি আমার বন্ধুর সাথ দেখা করতে গেলাম। বাসা থেকে বের হয়েছি। জম্মার নামাজের  পর। প্রায় ১৫ কিমি পথ পাড়ি দিয়ে তার সাথ দেখা করতে হয়েছে। ১৫কিমি কারন ওর আমার দুজনের মাঝামাঝি কারো যেন কষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।

সাড়ে ৪টার দিকে জান্নাত ফোন করা শুরু করলো আর থামা থামি নাই। আমি যে দুচারজন মানুষের মধ্যে বসে আছি। তার কোন পরোয়াই নাই।দু তিনবার ফোন রিসিভ করে বলেছি যে, আমি ঘন্টাখানেকের ভিতর আসছি। তা শুনে কে কিযে আজে বাজে কথা বলা শুরু করলো যা রক্ত মাংসে গড়া মানুষের পক্ষে সহ্য করা কঠিন।যেমন বাসায় আসার দরকার নাই, বন্ধু বান্ধব বাপ মা নিয়েই থাকো, আমি রাস্তায় যাচ্ছি , আমি খারাপ হয়ে গেলে আমাকে দোষ দিতে পারবা না, ‍তুমি হিজড়া হয়ে গেছো , বউ বাচ্চার দরকার নাই একদমে বলতে লাগলো। 

আর গলা কি এটাতো মেয়ে মানুষের গলা নয়, যেন ধান ভাঙ্গানো মেশিনের খট খট আওয়াজ। কানের সাথে সাথে হৃদয়টাও ছিন্ন ভিন্ন করে দেয়।

এই বউ আবার আমার কাছে ভালোবাসা আসা করে। আমি যতোই নরম হয়ে সংসারে শান্তি বজার রাখার জন্য চুপ থাকি ততই সে বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠে।

আমার মনে যদি বিষাক্ত তির বিধে থাকে তবে ভালোবাসা আসে কোথা খেকে। এইকথাটা কখনো বুঝাতে পারলাম না। 

আমি সারাদিনের কাজ শেষ করে মনটা শান্ত করে বাসায় ফিরি একটু আশা নিয়ে স্বপ্ন নিয়ে। কিছু একটা হবে, ঘরটা আদর সোহাগে মৌ মৌ করবে। কিন্তু তা কখনোই হয় না। ঘরে ঢোকার সাথে সাথে ওর ব্যবহারে , মুখের কুচকানো ভাব দেখে ঘৃনা ধরে যায়। ওর কাছে তো দুরের কথা ঘরের আর ফিরতে ইচ্ছা করে না।

আমি মাঝে মাঝে মন স্থির করি ওকে আর মেয়েকে নিয়ে একটু বেড়াতে যাবো। আগে থেকে বলি না সারপ্রাইজ দেবো তাই কিন্তু ঐ যা স্বভাব সব ভেস্তে দেয়। যেমন বসুন্ধরা সিটিতে যাওয়ার কথা আমি আগেই প্লা্ন করে রেখেছিলাম। আরো প্লান ছিল সংসদ ভবন ঘুরে আসার ।



..............................................................................................................................................................



Wednesday, July 15, 2020

Feeling sweet



.................................................. .................................................. .............................................
One day, two days later, I left behind 365 days. That scene still floats in front of my eyes. Her mother was delighted with a mild blow to the abdomen.
Girl, you are very impatient. He is busy saying that he will be arrested twenty days in advance. That is the will of God.
Anjuma, I haven't had the good fortune to see you in six months. How much pain you have endured. Maybe I can understand that better.
However, you are very impatient. At the age of six months, he was again in the AC train compartment, this time in the capital Dhaka when he was pressed on his father's lap. I have been fascinated by your wide-eyed gaze and fluttering of hands and feet. And how much you will be able to lie down in this way, so one day you learned to be upside down. Today you can stand up from sitting up. The thin nails of your hand are constantly scratching my face. Yet I look at your face and see how happy you are.
.................................................................................................................................................
মিষ্টি অনুভব
.................................................................................................................................................



একদিন দুদিন করে পিছে ফেলে এলাম ৩৬৫ দিন।এই তো সেদিনের কথা মায়ের গর্ভে থেকেই এসি  ট্রনের কামরায় চড়ে মাযের খুলনায় যাওয়া। আজও চোখর সামনে ভাসে সেই দৃশ্য। পেটের মধ্যে মৃদু আঘাতে ওর মায়ের পুলকিত হওয়া।
মেযে তুমি বড় অধৈর্য্য । দিন বিশেক আগেই ধরায় আসিবে বলে ব্যস্ত। আল্লাহর ইচ্ছায় তাই হলো।
আনজুমা ছয়টা মাসে তোমাকে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি। কতো কষ্ট যন্ত্রনা সহ্য করেছো তুমি । তা হয়তো আমিই ভালো বুঝতে পারি। 
যাইহোক, বড় অধৈর্য্য তুমি । ছয়মাস বয়সে আবার সেই এসি ট্রেনের কামরায়, এবার বাবার কোলে চেপে এলে রাজধানী ঢাকায়। তোমার ফ্যাল ফ্যাল চাহনী আর হাত পা ছুড়াছুড়ি মুগ্ধ হয়ে দেখেছি।মন্দ লাগেনা বিমোহিত চোখে তাকিয়ে দেখতে তোমার নিস্পাপ মুখের হাসি। আর কত শুয়ে থাকবে এভাবে পারা যায় তাই, হাত পা ছুটো ছুটি করতে করতে একদিন তুমি উপুর হওয়া শিখে গেলে। উপুর হওয়া থেকে বসা, বসা থেকে আজ তুমি পারো দাড়াতে। তোমার হাতের পাতলা নখ, প্রতিনিয়ত ক্ষত বিক্ষত করে চলেছে আমার মুখ। তবু তোমার মুখের পানে চেয়ে দেখি তুমি কতোটা খুশি।

Saturday, July 4, 2020

The birthday is also covered with sadness




It took a year to see it. I'm talking about my daughter Anjuma. I can't even smile openly on my daughter's birthday. I named my daughter Anjuma Ferdous. And my wife has left. Not just Zidney but Olivia Arman Zidney. And I said not yours Jannatul Ferdous. So I match your name. So I left Anjuma Ferdous Zidani so that the wife is a little happy. But neither will it. You have to keep the name that he has. Anyway, I've been hearing a lot of good things about this every year for the last one year. Even then I endured everything with my face just looking at the girl.

That is why the birthday was filled with sadness. Paradise night asked me what the cake was called. I said I gave the full name. He immediately attacked me. You have made me small with these names. You insulted me. The name of my beautiful girl has become famous. My daughter is the best girl in your family and the name has become awkward. If you know that your taste is so sweet .................... etc.

For half an hour I lay down and listened to everything with my teeth clenched. But how long will I hear what is coming in my mouth? Then I sat up.

I turned to him and said this animal. Explain to me how you get younger. This is not my daughter, my name can't be written on her birthday cake.

....................................................................................................................................................
                         জন্মদিনটাও বিষাদে ঢাকা
.....................................................................................................................................................

 দেখতে দেখতে কেটে গেলো একটা বছর।গত বছর ৪জুলাই রাত ১০টার দিকে আমাদের নয়নের মনি হয়ে পৃথিবীতে আগমন করে। আমার মেয়ে আনজুমার কথা বলছি। মেয়ের জন্মদিনে আমিও প্রান খুলে হাসতে পারি না। আমি আমার মেয়ের নাম রেখেছি আনজুমা ফেরদৌস। আর আমার বউ রেখেছে জীদনী। শুধু জীদনী নয় ও রেখেছিল অলিভিয়া আরমান জিদনী। আর আমি বলেছি তোমার না জান্নাতুল ফেরদৌস। তাই তোমার নামের সাথে মিলিয়ে রাখি । তাই রেখেছি আনজুমা ফেরদৌস জিদনী যাতে করে বউ একটু খুশি হয়। কিন্তু না তা হবে না। সে যে নাম রেখেছে সেটাই রাখতে হবে। যাই হোক এ বিষয় নিয়ে অনেক জগন্য কথা এই এক বছর ধরে প্রতি নিয়ত আমাকে শুনতে  হচ্ছে। তারপরও মুখ বুজে সব সহ্য করি শুধু মেয়েটার দিকে চেয়ে।
জন্মদিনটা বিষাদে ভরা হলো যে কারনে। আমাকে জান্নাত রাতে জিজ্ঞাসা করলো কেকে কি নাম দিয়েছে। আমি বললাম পুরো নাম দিয়েছি। ও সঙ্গে সঙ্গে আমার উপর চড়াও হযে বলল। এসব নাম দিয়ে তুমি আমাকে ছোট করেছো। আমাকে অপমান করেছো। আমার এতসুন্দর মেয়েটার নামটা জগন্য হয়েছে। আমার মেয়ে তোমাদের বংশের সেরা মেয়ে আর নামটা হয়েছে বিশ্রি জগন্য। তোমাদের রুচি এতো জগন্য তা জানলে .................... ইত্যাদি।
অধঘন্টার মতো আমি শুয়ে শুয়ে চুপচাপ দাতে দাত চেপে সব শুনছি। কিন্তু কতক্ষন শুনবো যা মুখে আসছে তাই বলে যাচ্ছে। তখন আমি উঠে বসলাম।
ওর দিকে ফিরে বললাম এই জানোয়ার। কিভাবে তুমি ছোট হয়ে গেলে আমাকে বুঝাও। একি আমার মেয়ে নয় যে, ওর জন্মদিনের কেকে আমার রাখা নাম লেখা যাবে না।


Monday, June 22, 2020

The story began of lose-4


                                                      15th August 2018, approximately 11 pm. The body is tired from working all day. As soon as I entered the house, I lay down on the sofa. I lay down on the bed on my left side and lay down. Five in several minutes and came near me. As soon as I turned my face towards him, he put his lips on my lips. After an hour, the inside of my chest started to cry. I feel the same. Nothing I have heard or seen since learning to understand.
                                                  
 .......................................................................................................................................
            হারানোর গল্প শুরু - ৪
.......................................................................................................................................

15ই আগষ্ট ২০১৭, আনুমানিক রাত ১১টা। সারাদিনের পরিশ্রমে শরীর ক্লান্ত।ঘরে ঢুকেই সোফায় গা এলিয়ে বসে পড়লাম।আমি বিছানায় শুয়ে পড়লাম আমার বাম পাশে ও শুয়ে পড়লো। মিনিট পাচঁ গড়াতেই ও আমার কাছাকাছি এসে গেলো। আমি ওর দিকে মুখ ফেরাতেই ও আমার ঠোটে ঠোট রাখলো।ঘন্টা খানেক পর আমার বুকের ভিতরটা ঠুকরে কেদে উঠলো। আমি একি অনুভব করছি। বুঝতে শেখার পর থেকে যা শুনেছি দেখেছি তার কিছুই না।

Sunday, June 21, 2020

The story began to lose - 2


 Starting from seeing the girl, all the work of marriage is done in different houses. Nani has fulfilled all the responsibilities of Mama Mami and Murabbi. One of Jannat's uncles was dead. There are three uncles but they have not met much.
 
On the wedding day, the three uncles were seen only like the moon of Eid.    

The cabin was simply completed. Everyone left leaving me here. Jannat and I got into an auto and drove to their rented house. This is my first visit to their house. Tinshet is an old house. After crossing some mud, I reached their house. I sat on the sofa. Jannat said I have not changed the saree, you sit down. The saree was replaced by a three-pitch. It doesn't look like he got married today. He is walking inside the house as usual.

I also don't think that the girl in front of me is my wife. It seems that I am sitting quietly with a guest who came to visit their house. My eyes fell on the bed in front of the sofa. There are two roses and a donkey hanging on the bed around the bed. The house is also silent. There is no sign of anyone getting married in this house. The environment is difficult to explain in words.

At 10:30 pm, Jannat said, will you eat something? I did not say. Jannat gave me a new lungi. I put on my lungi and got ready to go to bed. It's just a gentle breeze, a storm is yet to come ......................



                                                                                                                                                                                                                                                                                                             
.................................................................................................................................................
                 হারানোর গল্প শুরু 

মেয়ে দেখা থেকে শুরু করে বিয়ের সকল কাজ সম্পন্ন হয় নানা বাড়ি। মামা মামী ও মুরব্বি হিসাবে নানীই সকল দায়িত্ব পালন করেছেন। জান্নাতের এক চাচা ছিল তিনি মারা গেছেন। তিন ফুফু আছেন কিন্তু তাদের সাথে তেমন সাক্ষাত হয়নি।
বিয়ের দিন শুধুমাত্র ঈদের চাঁদের ন্যায় দেখা গিয়েছিল তিন ফুফুকে।
সাদামাটাভাবে কাবিন সম্পন্ন হলো। আমাকে এখানে রেখে সবাই চলে গেলো। আমি আর জান্নাত একটি অটোতে চেপে ওদের ভাড়ার বাসায় রওনা হলাম।ওদের বাসায় এটাই আমার প্রথম যাওয়া।টিনশেট পুরাতন একটি বাড়ি। কিছুটা পানি কাদার পেরিয়ে অন্যর বাড়ির ‍উপর দিযে ওদের বাসায় পৌছালাম। আমি সোফায় বসলাম। জান্নাত বলল আমি শাড়িটা বদলে নেই তুমি বসো। শাড়িটা বদরে থ্রিপিচ পড়লো।ওকে দেখে মনে হচ্ছে না যে, আজ বিয়ে হয়েছে।স্বাভাবিক ভাবেই ঘরের ভিতর হাটাচলা করছে। আমারও মনে হচ্ছে না আমার বিয়ে হয়েছে সামনের ঐ মেয়েটি আমার স্ত্রী।মনে হচ্ছে আমি ওদের বাসায় বেড়াতে আসা কোন অতিথী চুপচাপ বসে আছি।চোখ পড়লো সোফার সামনে খাটের দিকে। খাটের চারপাশে ফাকা ফাকা করে সুতায় দু,একটা গোলাপ ও গাধা ফুল ঝুলছে।বাড়িটাও শুনশান নিরবতা। এই বাড়িতে কারো বিয়ে হয়েছে এমন কোন চিহ্নই নাই।পরিবেশটা ভাষায় বোঝানো কঠিন।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে জান্নাত বললো, তুমি কি কিছু খাবে ?
আমি বললাম না।
জান্নাত আমাকে নতুন একটি লুঙ্গি দিলো।আমি লুঙ্গি পড়ে বিছানায় যাবার জন্য তৈরি হলাম।
এইটা শুধু মৃদু হাওয়া, ঝড় তুফান এখনো বাকি...................... 


Corona is a silent killer for children


On March 7, the first coronavirus was found positive in Bangladesh. All schools have been closed since then. At present, the world of children is a four-walled verandah and a roof. You don't see them hanging out with your classmates anywhere. Disruption is happening in the intellectual development of children. Before returning from school, he used to be busy with class coaching and batches. At present, the children are sitting at home and listening to the online briefing for hours on end. Experts believe that this has adversely affected the mental development of children.


করোনা শিশুদের জন্য নিরব প্রানঘাতি

মার্চের ৮তারিখে বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাস পজেটিভ পাওয়া যায়।
সেই থেকে সকল স্কুল বন্ধ। বর্তমানে শিশুদের পৃথিবী হচ্ছে চার দেয়াল বারান্দা এবং ছাদ।দেখা হয়না ক্লাসের বন্ধুদের সাথে ঘোরা হয়না কোথাও।
ব্যঘাত ঘটছে শিশুদের মেধাবিকাশে। আগে স্কুল থেকে ফিরে ক্লাসের কোচিং , ব্যাচ নিয়ে ব্যস্ত থাকতো।
বর্তমানে শিশুরা ঘরে বসে ঘন্টায় ঘন্টায় শুনছে অনলাইন ব্রিফিং আরও শুনছে অভাব অনাটনের ফিরিস্তি। এতে করে শিশুদের মানষিক বিকাশে বিরুপ প্রভাব পড়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

Saturday, June 20, 2020

The story began to lose



When the small ferry named life came to the pier called Sansar, I realized what life is. On 15th August, I organized a big event and bought the permanent pain of life. Back Kujo people may have seen everyone. It can't be cut just like that, it can't be cut straight.

The day started with a lot of hope. But the depths of the night are an unrealistic gift waiting for me. My life's shattered dream was shattered in a moment. I don't understand where I am. Is it the deep sea or the Dhudhu desert mirage. On this night of 15th August, the paradise of my imagination is swept away by the unknown stream of pain.


As the magnet repels its opposite pole, so happiness is always repulsed from me. The train of conflict has not stopped from that moment till today. I drowned in the abyss of sorrow.


..........................................................................................................................................................
                                         হারানোর গল্প শুরু
.........................................................................................................................................................                                                                                                                                                                                     
জীবন নামের ছোট্ট খেয়া যখন সংসার নামক ঘাটে গিয়ে ভিড়লো তখন বুঝতে পারলাম  জীবন কাকে বলে।১৫ই আগষ্ট বড় আয়োজন করে কিনে আনলাম জীবনের স্থায়ী যন্ত্রনা। পিঠ কুজো মানুষ হয়তো সবাই দেখেছেন। এটাও ঠিক তেমন না যায় ছেটে ফেলা না যায় সোজা হযে দাড়ানো।
অনেক আশা উদ্দিপনার মধ্যে দিয়েই শুরু হয়েছিল দিনটি। কিন্তু রাতের গভীরতা আমার জন্য অপেক্ষমান অবাস্তব এক উপহারে।
মুহূর্তের মধ্যে ভেঙ্গে গেলো আমার জীবনের সাজানো স্বপ্ন।আমি যে কোথায় আছি বুঝতে পারছিনা। এটা কি গভীর সমুদ্র নাকি , ধুধু মরুভূমি মরিচিকা ।১৫ই আগষ্টের এই রাত আমার কল্পনার র্স্বগকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় অজানা বেদনা স্রোতে।
চুম্বক যেমন তার বিপরীত মেরুকে বিকর্ষন করে, সুখ তেমনি সবর্দা আমার থেকে বিকর্ষিত।সেই দেনমোহর থেকে শুরু করে আজ অবদি থেমে নাই দ্বন্দের রেলগাড়ি।ক্ষনে ক্ষনে সামান্য সময়ের জন্য ষ্টেশনে দাড়ালেও সুখ নামের যাত্রীর দেখা মেলেনা।পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ সংসার বাধে সুখের আশায় আর আমি চিরদিনের মতো ডুবে গেলাম দুখের অতলে।

It's going on

 I'm sorry I haven't been able to post anything for quite some time.



Anyway, yesterday 19th June Jannat is sitting on the balcony calling me. Come on, let me show you something. I was making tea with cardamom, cloves, black pepper, cinnamon, and ginger. I am on the balcony responding to the call of paradise. Tell me what happened? Did you see a bedsheet dried on that balcony? Yes, you see.


You can buy me a sheet like that. Well, I'll give it to you. I was leaving the balcony when Jannat said. I have to go to the market. You will not buy it alone. I said okay.
Jannat said- why don't you go out with me one more time? For the sake of not catching any of your mischiefs. I wanted to leave without any answer.


Jannat said again what should have happened or did I say? It hit me. I just said it's no use. Fix the usage. Jannat: I'm right, I have nothing to do with your pain. I said, "Have you ever seen a girl on my phone today in her three years of marriage?" He said - I have not seen. When I was a Reb outside of me, did you ever see me talking to a girl or a girl talking to me? I haven't seen Jannat say that. Then why do you disturb the world by falsely suspecting me?

He turned his face away without answering.

...............................................................................
খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে
...............................................................................


আমি বেশ কিছু দিন ধরে কিছু পোষ্ট করতে না পারার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত । করোনা ভাইরাসের প্রাদুভার্বে কয়েক মাস বেতন না পাওয়ার কারনে। আমি ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন বিচ্ছিন্ন ছিলাম।

যাইহোক, গতকাল ১৯ শে জুন জান্নাত বেলকনিতে বসে আমাকে ডাকছে। জলদি আসো একটা জিনিস দেখাবো তোমাকে । এলাচ, লবঙ্গ, গোলমরিচ, দারুচিনি এবং আদা দিয়ে আমি চা তৈরি করছিলাম। জান্নাতের ডাকে সাড়া দিয়ে আমি বেলকনিতে .
কি হয়েছে বলো ?
ঐ বেলকনিতে দেখেছো একটা বিছনার চাদর শুকাতে দেয়া ?
হ্যা দেখেছি।
আমাকে ঠিক ঐধরনের একটা চাদর কিনে দিবে ।
আচ্ছা ঠিক আছে দিবো।বলে আমি বেলকনি ছেড়ে চলে আসছি এমন সময় জান্নাত বললো। আমাকে বাজারে নিয়ে যেতে হবে। তুমি একা একা কিনবে না।
আমি বললাম আচ্ছা।
জান্নাত বলল- আমাকে নিয়ে বেশি একটা বাইরে বের হওনা কেন? তোমার কোন অপকৃতি ধরা না পড়ে যায় সে জন্য।
আমি কোন উত্তর না দিয়ে চলে আসতে চাইলাম।
জান্নাত আবার বলল কি হলো উচিত কথা বলে ফেললাম নাকি ? গায়ে লেগে গেলো।
আমি শুধু বললাম এটা কোন ব্যবহার না। ব্যবহার ঠিক করো।
জান্নাত- আমি ঠিকই বলেছি তোমার কষ্ট লাগলে আমার কিছু করার নাই।
আমি বললাম- আজ তিন বছরের সংসারে তুমি কখনো দেখেছো যে আমার ফোনে কোন মেয়ে মানুষের ফোন এসেছে?
ও বলল -না দেখিনি।
যখন আমার বাইরে রেব হই তখন কোনদিন দেখেছো যে, আমি কোন মেয়ে মানুষের সাথে কথা বলেছি বা আমার সাথে কোন মেয়ে মানুষ কথা বলেছে।
জান্নাত বলল না তাও দেখিনি।
তাহলে মিছেমিছি আমাকে সন্দেহ করে সংসারে অশান্তি করো কেন ?
কোন উত্তর না  দিয়ে মুখ ঘুরিয়ে বসে থাকলো।

                                                                                                                                               
                                                                                                                                                         

Saturday, May 30, 2020

Mathin's well





 Love stories like Lily-Majnu, Shiri-Farhad, and Mumtaz-Shahjahan are spread all over the world. Which is just a witness of the future to the generation? Similarly, a rare tragic love story "Mothiner Koop". The well is located at Teknaf in Cox's Bazar, the southernmost border of the country.
A hundred years ago. This Mathin well is located in the Teknaf Thana premises next to the Naf River, the heart of Teknaf city. There is a painful love story behind this well.

 
At that time Teknaf was ruled by Rakhine zamindar Wanthin. Wanthin's only daughter was named Mathin. At that time there was a severe shortage of potable water in Teknaf. At that time there was only one huge water well in the entire Teknaf police station compound. So everyone from Teknaf used to come here to fetch water. The number of young women was more. Mathin, the daughter of the zamindar, also used to come to the well. But the time of his arrival was different. Mathin used to fetch water from the well before everyone came.

                                                                                                                                                                   Dhiraj Bhattacharjee was the OC of Teknaf Police Station at that time. He came from Calcutta. Dhiraj stayed at the police station so Mathan could not escape his sight. Dhiraj unknowingly fell into the trap of Mathin's form. From then on, Dhiraj used to sit on the verandah of the police station every morning to get a chair. Seeing Mathin coming and going, their minds changed. Mathin and Dhiraj are caught in the web of speculation and imagination. One day Dhiraj gets his father's telegram and he has to return to Calcutta soon.               

Mathin used to sit by the well, starving and insomniac, waiting for the return of the loved one. Mathin went to the land of no return one day while sitting like this.
Later Dhiraj Bhattacharya wrote a book about his personal life "When I was a policeman". He wrote this book about Mathin. The book was published from Lahore in 1930.

Mathin used to sit by the well, starving and insomniac, waiting for the return of the loved one. While sitting like this, Mathin went to the land of no return one day. Later Dhiraj Bhattacharya wrote a book about his personal life "When I was a policeman". He wrote this book about Mathin. The book was published from Lahore in 1930.

Then on 24 April 1974, a signboard with the history of Mathin's well was hung in the first Teknaf Thana compound. The sponsor was Abdul Quddus Rana, a journalist of Prothom Alo. Later in 2006, Mathin's well was modernized by the then Superintendent of Police Banaj Kumar Majumder. Collected ...

                                                                                                                                                               
..........................................................................................................................................................
                                                              মাথিনের কূপ
...........................................................................................................................................................
লাইলি -মজনু, শিরী -ফরহাদ আর মমতাজ -শাজাহানের মতো প্রেম কাহিনী পৃথিবীর কোনে কোনে ছড়িয়ে রয়েছে। যা প্রজম্মের কাছে শুধু কালের সাক্ষী। তেমনি এক বিরল বিয়োগান্তিক প্রেম কাহিনী “মথিনের কূপ”। যে কূপটির অবস্থান দেশের সর্ব দক্ষিনের সীমান্ত পনপদ কক্সবাজারের টেকনাফে।
শত বছর আগের কথা। টেকনাফ শহরের প্রানকেন্দ্র নাফ নদীর পাশে টেকনাফ থানা চত্বরে এই মাথিনের কূপ। এই কূপের পেছনে রয়েছে এক বেদনাবিদুর প্রেম কাহিনী।
তখন টেকনাফ শাসন করত রাখাইন জমিদার ওয়ানথিন। ওয়ানথিনের একমাত্র কন্যার নাম ছিল মাথিন। তখন টেকনাফে সুপেয় পানির খুব অভাব ছিল। সমগ্র টেকনাফে থানা কম্পাউন্ডেই তখন একমাত্র বিশাল পানির কূপ ছিল।তাই টেকনাফের সকলে এখানে পানি নিতে আসতো। তার মধ্যে তরুনীর সংখ্যাই বেশি ছিলো। জমিদার কন্যা মাথিনও কূপে আসতেন। তবে তার আসার সময়টা ছিল অন্যরকম। সকলে আসার আগেই মাথিন কূপ থেকে পানি নিয়ে চলে যেতেন।

তখন টেকনাফ থানার ওসি ছিলেন ধিরাজ ভট্টাচর্জ। তিনি কলকাতা থেকে  এসেছিলেন।ধীরাজ থানাতেই থাকতেন তাই মাথনের আসা-যাওয়া তার চোখ এড়াতে পারেনি। নিজের অজান্তেই মাথিনের রুপের জালে আটকা পড়ে যান ধীরাজ।  এরপর থেকে প্রতিদিন ভোর বেলায় থানার বারান্দায় চেয়ার পেতে বসে থাকতেন ধীরাজ। মাথিনের আসা যাওয়া দেখতে দেখতে তাদের মধ্যে মনের ওদল বদল হয়ে যায়। প্রেমে মশগুল হয়ে জল্পনা কল্পনার জালে আবদ্ধ হয় মাথিন ও ধীরাজ। একদিন ধীরাজের কাছ তার বাবার টেলিগ্রাম আসে দ্রুত তাকে কলকাতায় ফিরতে হবে। টেলিগ্রাম পাওয়া মাত্র যেন কালবিলম্ব না করে। ধিরাজ মাথিনকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে চলে যায়।
ভালোবাসার মানুষের ফিরে আসার অধির অপেক্ষায় দিন গুনতে গুনতে অনাহারে-অনিদ্রায় কূপের পাশেই বসে থাকতেন মাথিন। এভাবেই বসে থাকতে থাকতে  একদিন না ফেরার দেশে চলে যায় মাথিন।
পরে ধীরাজ ভট্টাচর্য  তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে একটি গ্রন্থ লেখেন “ যখন পুলিশ ছিলাম” । তার এই গ্রন্থ মাথিনকে নিয়ে লিখেছিলেন। বইটি লাহোর থেকে ১৯৩০ সালে প্রকাশিত হয়।
এরপর ১৯৮৪ সালের ২৪ এপ্রিল প্রথম টেকনাফ থানা কম্পাউন্ডে মাথিনের কূপের ইতিহাস সম্বলিত একটি সাইনবোর্ড ঝুলানোর হয়।পৃষ্টপোষকতায় ছিলেন প্রথম আলো পত্রিকার সাংবাদিক আব্দুল কুদ্দুস রানা । পরে ২০০৮ সালে মাথিনের  কূপটির আধুনিকায়ন করেন তৎকালিন পুলিশ সুপার বনজ কুমার মজুমদার।
সংগৃহিত...


Friday, May 29, 2020

The way life begins (6)


 
 
But no ,? The problem became more apparent. Those were the ones who mediated our pairing. They began to retreat. I don't understand what they have in mind. The unbridled waves of the river of life began to ruin the decorated dream garden. There was no shortage of terrible lightning in the heart of the sky. The two strong legs that had been standing in the past were trembling. 

Body, mind and soul began to be destroyed by

endless pain. The tears of the heart began to flow

with the eyes. The tongue of the heart began to

stop.                                                                           


Finally, Jannat's father was busy reconnecting our

hearts. In this, of course, everyone in the family of

Jannat had a leading role. Our two families were

miraculously reunited. Became more and more

intimate. What's more, twenty new flowers bloomed

in the garden, the sweet song of the birds, the

cooing of the cuckoo.

The date remained as it was. Waiting minutes are

longer than hours.


So after a long wait, the sun of August 15th brought the message of the arrival of a new morning. In the midst of endless happiness in my heart, an unknown fear was haunting me. At last the waiting period was over and we became husband and wife. But now on one side I have the black dense sun of love and on the other side the blue cloud of suffering.                                                                          


....................................................................................................

.....................................................................................................


কিন্তু না, ? সমস্যা আরো প্রকট অবস্থা ধারন করলো।  আমাদের জোড়া দেয়ার মধ্যস্থতায় যারা  ছিলো।  তারা পিছু হটতে লাগলো। বুঝতে পারিনা তাদের মনে কি আছে।
জীবন নদীর লাগামহীন তরঙ্গ তছনছ করে দিতে লাগলো সাজানো স্বপ্নের বাগান। ভয়াবহ বজ্রপাতের কমতি ছিলো না হৃদয় আকাশে। থরথর করে কাপছিলো বিগত দিনের দাড়িয়ে থাকা শক্ত পা দুটো।
অন্তহীন যন্ত্রনায় পুড়ে ছারখার হতে লাগলো দেহ, মন, প্রান। হৃদয়ের রক্তাশ্রু চোখ দিয়ে ঝরতে লাগলো।থেমে যেতে লাগলো হৃদয়ের জিহ্বা। 
অবশেষে জান্নাতের বাবাই পুনরায় আমাদের হৃদয় জোড়া দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন।  এতে অবশ্য জান্নাতের পরিবারের ছোটবড় সকলের অগ্রনী ভূমিকা ছিলো। পুনরায় অলৌকিক ভাবে জুড়ে গেলো আমাদের দুটি পরিবার। হয়ে গেলো আরো ঘনিষ্ট থেকে ঘনিষ্টতর। ব্যস আর কি, বাগানে ফুটলো নতুন করে ফুলের  কুড়ি, পাখিরদের মিষ্টি গান, কোকিলের কুহুকুহু শব্দে মুখোরিত।
তারিখ যা ছিলো তাই থাকলো। অপেক্ষার মিনিট ঘন্টার চেয়ে বড়। তাই অনেক প্রতীক্ষার পর ১৫ই আগষ্টের সূর্য নতুন সকালের আগমনী বার্তা নিয়ে এলো।
হৃদয়ের মাঝে অফুরন্ত সুখের মাঝে একটা অজানা ভয় খুড়ে খুড়ে খাচ্ছিলো আমাকে। অবশেষে  অপেক্ষার পালা শেষ হলো আর  আমরা হলাম স্বামী -স্ত্রী।
কিন্তু এখন আমার একপাশে ভালোবাসার কালো ঘন রোদ্দুর আর একপাশে কষ্টের নীল মেঘ

শুধু সন্তানের জন্য

 আমি চরম অসহায়। জীবন যুদ্ধে যার সাথে মাঠে নেমেছি  সেই আমার প্রতিদ্বন্দি। সে আর কেউ নয় আমার স্ত্রী। কেন বলছি কারন, আমার আয় করা টাকা থেকে বছরে...