11.05.2020
গত ৯ এপ্রিল আমার সকালটা খুব ভালোই শুরু হয়। যদিও পকেটে নিজের টাকা নাই । তারপরও চেষ্টা করছি ভালো থাকার। আমার জীবন সঙ্গিও মানিয়ে নিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। শুধু আমার বস পরিবেশ পরিস্থিতি বোঝে না। যাই হোক , আমার স্ত্রী প্রায় ৩মাস যাবত কিছু মেয়েলি সমস্যায় ভুগছিলেন। নুন আনতে পানতা ফুরানোর সংসার তাই সাধ থাকলেও সাধ্য নাই। ডাক্তারের কাছে নেবার। আজ সুযোগ এসেছে কারন এক বড় ভাই বলেছে ।
১০০ টাকা ভিজিটে এক ভালো ডাক্তার দেখিয়ে দিবে। তাই সকাল সকাল আমরা আমাদের ছোট মেয়ে আনজুমা কে সাথে নিয়ে বেড়িয়ে পরি। ঘরে সুন্দর করে তালা দিয়ে তালা টেনেটুনে চেক করে। রওনা হলাম। অনুমানিক সকাল সাড়ে ১১টার দিকে।
ডাক্তার ম্যাডাম আমার স্ত্রীকে সব কথা শুনে বললো একটি আল্ট্রাসনো করা দরকার । রিপোর্ট না দেখে কিছুই বলা যাবে না। সেই বড় ভাইযের সাহায্যে নিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম কারালাম। ডাক্তার আমাদের দেখে বা কিছু কথা শুনে দয়াবান হয়ে বলল । তোমরা আজকেই রিপোর্ট নিয়ে আসো আমি দেখে দেবো্ কোন ফি লাগবেনা। আল্ট্রার রিপোর্ট দেখে ডাক্তার ম্যাডাম বলল, রিপোর্টে ভালো সামান্য কিছু ঔষুধ খেলেই ঠিক হয়ে যাবে।
খুব খুশি মনে বাসায় ফিরলাম । বাসায় ফিরতে ফিরতে বিকাল ৫টা বেজে গেলো। কে জানতো, যতটুকা খুশি হয়েছিলাম ডাক্তার দেথিয়ে , তার চেয়ে কয়েক হাজার গুন কষ্ট আমার পথ চেয়ে আছে। বাসায় ফিরে দেখি আমার বাসার দরজা খোলা।চুরি হয়েছে। করোনার এই মহামারির সময় না পাচ্ছি বেতন , না পাচ্ছি কোন সহযোগীতা। তার মধ্যে আমার ঘরের চাল, ডালসহ সব নিয়ে গেছে ।আমার শ্বশুর তার নাতনীর ঈদ মার্কেট করার জন্য ১০ হাজার টাকা পাটিয়েছিলেন। আমার মেয়ের জন্য আর ঈদের মার্কেট হলো না। এটা ওর জীবনের দ্বিতীয় ঈদ।
রাত পোহালে চাল কোথায় পাবো। সেই চিন্তায় মাথা ঘুরতে লাগলো।আমার স্ত্রী হাউমাউ করে কাদতে লাগলো। আমিতো কাদতেও পারিনা। তাহলে যে , ও আরো ভেঙ্গে পড়বে। আমার বসকে অনেকবার ফোন করার পর কল রিসিভ করলো। তাকে সব জানালাম তিনি শুধু দুঃখ প্রকাশ করলেন। যখন টাকা চাইলাম তখন। বলল আজ আমার কাছে কোন টাকা নাই কালকে দিবো। আমি পাবো তিন মাসের বেতন ৬০ হাজার টাকা, ঈদের বোনাস তো আছেই। অথচ ঘ্যানর ঘ্যানর করতে করতে দুদিন পর উনি আমাকে ৫হাজার টাকা দিলেন। কিছু বলার নাই শুধুই দীর্ঘশ্বাস। আর চোখের কোনে দু,ফোটা জল।
.............................................................................................................................................................
There is more sorrow than happiness
11.05.2020
Last April 9, my morning started very well. Although I don't have my own money in my pocket. Still trying to stay good. My life partner has become accustomed to adapt. Only my boss does not understand the environmental situation. Anyway, my wife was suffering from some feminine problem for about 3 months. It is not possible to bring salt, even if it is possible. Take it to the doctor. Today the opportunity has come because one big brother said.
100 rupees' visits will show a good doctor. So in the morning, we went out with our little girl Anjuma. Check the lock tune tune with the lock neatly in the room. I left. Approximately 11:30 in the morning.
The doctor told my wife that an ultrasouogram was needed. Nothing can be said without looking at the report. I did an ultrasonogram with the help of that big brother. The doctor said kindly when he saw us or heard something. You bring the report today, I will see, there will be no fee. Seeing Ultra's report, Dr. Madam said that it would be fine to take some good medicine in the report.
I returned home feeling very happy. It was 5 o'clock on the way back home. Who knew, as much as I was happy to see a doctor, I have a few thousand times more trouble than my path. When I returned home, I saw that the door of my house was open. During this epidemic of Corona, I am not getting any salary or any assistance. He took everything from my house including rice and pulses.
Where can I get rice at night? My head began to spin with that thought. My wife started moaning and crying. I can't even cry. Then he will break even more. My boss received the call after calling several times. I told him everything, he just apologized. When I asked for money. He said I have no money today and I will give it tomorrow. I will get a salary of 60 thousand rupees for three months, there is an Eid bonus. But two days later he gave me 5,000 rupees. There is nothing to say, just sigh. And in the corner of the eye two drops of water.
No comments:
Post a Comment